কলকাতা 

বিজেপি-র জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ও পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস-সিপিএমের ডাকা বনধে কলকাতা ও শহরতলির জনজীবন স্বাভাবিক থাকলেও জেলাগুলিতে মিশ্র প্রভাব পড়েছে

শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেস ও বামদলগুলির ডাকা ১২ ঘন্টা ধরে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাকে এরাজ্যে মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।

কলকাতার মানিকতলা, এন্টালী, হাজরা মোড়, রাসবিহারী প্রভৃতি এলাকায় ভারত বনধের সমর্থনে অল্প সময়ের জন্য অবরোধ ও মিছিল হয়। কলকাতা তো বটেই রাজারহাটেও  দোকানপাট বেশীরভাগ খোলা ছিল। বাস, ট্রাম নিয়ম মত চলে। তবে,  রাস্তায় লোকজন কম ছিল ।

Advertisement

হাওড়ার শ্যামপুরে আজ সকালে বনধ সমর্থকরা একটি বেসরকারী বাস ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরে যায় উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বনধের তেমন কোন প্রভাব দেখা যায়নি।  প্রায় সবকটি জুটমিলে কাজ হয়েছে।  যানবাহন চলাচল  স্বাভাবিক ছিল।

নদীয়ার শিল্প ও বিশ্ববিদ্যালয় নগরী কল্যাণীতে বনধের কোন সাড়া পড়ে নি। সমস্ত কলকারখানা খোলা ছিল। বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেছে। সময় মেনে  ট্রেনও চলেছে। কল্যাণী ও বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও যথারীতি খোলা ছিল । অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক ছিল কাজকর্ম । নদীয়ার জেলাসদর কৃষ্ণনগরে বনধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শহরের দোকানপাট বেশীরভাগই বন্ধ রয়েছে। কৃষ্ণনগর বাস স্ট্যান্ড থেকেও কোন বেসরকারী বাস চলেনি। রাণাঘাট-কৃষ্ণনগর,শান্তিপুর গেদে স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

বনধের সমর্থনে বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরে সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিল জি.টি রোড ও বি.সি রোড প্রদক্ষিণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বনধের সেরকম কোন প্রভাব পড়েনি। তবে, ওয়াড়িয়া স্টেশনে অবরোধের জন্য ডাউন অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস কিছুক্ষণের জন্য আটকে পড়ে। এছাড়াও আসানসোলের কুলটি, নিয়ামতপুর বাজার বন্ধ রাখার জন্য সিপিএম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হলে, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বনধ সমর্থনকারীদের বচসা হয়। আসানসোল পুরনিগমের সামনে বনধ সমর্থকরা বাস পরিষেবা বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

এদিকে, আসানসোল স্টেশনে রেল অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। এর জেরে ডাউন পাটনা-হাওড়া ও গান্ধীধাম-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি দাঁড়িয়ে পড়ে এবং কয়েকটি লোকাল ট্রেনও কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে যায়। এখন অবশ্য ট্রেনচলাচল স্বাভাবিক।

বীরভূমের সদর শহর সিউড়িতে সরকারী বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। জেলা থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই ।পুরুলিয়া জেলায় সকাল থেকেই বেসরকারী বাস চলাচল বন্ধ ছিল। বন্ধ রয়েছে অন্তরাজ্য যান চলাচলও।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে সরকারী বাস চলাচল করলেও যাত্রী সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। কোনরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় কড়া পুলিশী ব্যবস্থা ছিল।

উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে সকাল থেকে বেসরকারী বাস চলাচল বন্ধ। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকান। আইএনটিইউসি-র সমর্থকরা আজ সকালে বনধের বিরোধিতায় মিছিল বের করে। তবে, বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে সিটুর পক্ষ থেকে পিকেটিং করা হয়।

 


শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

two × 5 =