জেলা 

ফাঁসিদেওয়ায় সেতু ভাঙার দায় কার ? শাসক তৃণমূলের তীর বামেদের দিকে, বামেরা বলছে দায়ী রাজ্য সরকার , ভুগছে সাধারণ মানুষ

শেয়ার করুন
  • 6
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙার দায় কার এ নিয়ে যখন শাসক দল বির্তক করছে ঠিক তখনই রাজ্যে ভেঙে পড়ল আর একটি সেতু ।শুক্রবার সকালে ‘ভি’ আকারে ভেঙে পড়েছে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার একটি সেতু।আর তার পর সেই সেতু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। এ দিন সকালে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সেতু মেরামতি কেন করা হয়নি তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘সেতুটি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত।রাজ্য সরকারের এখানে কিছুই করার নেই।’’ তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট তিনি সেতু ভাঙার দায় বামেদের। কারণ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের দখল রয়েছে বামেদের।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও একই কথা বলেছেন, ‘‘বাম আমলে তৈরি হওয়া ওই সেতুর কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। সমস্ত কাগজপত্র নতুন করে তৈরি করতে হবে।’’ কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে ৭ বছর। তার মধ্যে কেন উত্তরবঙ্গের বিপন্ন সেতুগুলোকে চিহ্নিত  করা হল না বা মেরামতি হল না? সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। গৌতম দেব বা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ— সেতু ভেঙে পড়ার পিছনে যে যুক্তি খাড়া করেছেন, তা একেবারেই মানতে নারাজ সিপিএম নেতারা।

Advertisement

উল্টে তাঁদের দাবি, মহকুমা পরিষদ সিপিএমের দখলে  আছে বলেই সেতু নিয়ে গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছে রাজ্য সরকার। সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার বলেন, ‘‘অনেক দিন আগেই ফাঁসিদেওয়ার এই সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ে। মহকুমা পরিষদ দুর্বল সেতু হিসেবে চিহ্নিত করে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছিল। সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ বাম সরকার পরিচালিত তাই মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে দেরি করছে।’’আর শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের অনেক সেতুই এই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সবগুলির রক্ষণাবেক্ষণের বদলে সরকার নীল সাদা রং করে বেড়াচ্ছে।’’

এই চাপানউতোরেই বছরের পর বছর মেরামতি ছাড়াই পড়ে রয়েছে সেতুটি।প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে যতদূর জানা গিয়েছে, শেষ ২০০২ সালে মেরামতি করা হয়েছিল। তারপর যত বছর ঘুরেছে, সেতুর অবস্থাও আরও জীর্ণ হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘সেতুর তলাটা একেবারেই ক্ষয়ে গিয়েছিল।আশেপাশের অনেকগুলো গ্রামের যোগাযোগ নির্ভর করে ছিল এই সেতুর উপরেই। যাতায়াতের খুব সমস্যা হবে এ বার।’’

শুধু ফাঁসিদেওয়া বা মাঝেরহাট নয়, পোস্তা, উল্টোডাঙার ক্ষেত্রেও অনেকটা একই ভঙ্গি দেখা গিয়েছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু দায় চাপিয়ে এবং ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেই কি সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যায় সরকারের? উল্টোডাঙা-পোস্তার পর বিনা দেখভালে যে ভাবে পর পর দুটো সেতু ভেঙে পড়ল, তা থেকে এমনই মনে হচ্ছে।

 

 

 


শেয়ার করুন
  • 6
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

3 × 2 =