”কোনও প্রকৃত ধার্মিক অন্যের ধর্মকে ঘৃণা করে না। কারণ, প্রকৃত ধর্ম অধর্মের শিক্ষা দেয় না এবং সমস্ত অপকর্ম বর্জনের শিক্ষা দেয়, সমস্ত ধর্মই সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় বলে আমি বিশ্বাস করি” বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার নিন্দা করে প্রতিক্রিয়া পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর
বাংলার জনরব ডেস্ক : সাম্প্রদায়িক অশান্তি ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার অনেকটাই অস্বস্তিতে রয়েছে। সম্প্রতি ওই দেশে দুর্গা পুজোর মন্ডপে কোরআন শরীফ বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয় তা নিয়ে সমগ্র বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ইন্ডিয়ান সেকুলারদের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন,’অপরাধীদের কোনও ধর্ম হয় না’ – এই বলে নিন্দা করে লিখিত বিবৃতি জারি করেছেন তিনি।
আজ রবিবার লিখিত বিবৃতি দিয়ে আব্বাস জানিয়েছেন, ”কোনও প্রকৃত ধার্মিক অন্যের ধর্মকে ঘৃণা করে না। কারণ, প্রকৃত ধর্ম অধর্মের শিক্ষা দেয় না এবং সমস্ত অপকর্ম বর্জনের শিক্ষা দেয়। সমস্ত ধর্মই সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় বলে আমি বিশ্বাস করি।” এরপর তিনি বিবৃতি’তে লেখেন, ”যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাই।”
আসলে বাংলাদেশের পূজামণ্ডপে ইসলামদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরান (Quran) অবমাননার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চলে। কুমিল্লার এই ঘটনার পর আবার নোয়াখালিতে ইসকন মন্দিরে (Iskcon Temple) ভাঙচুর করে এক সদস্যকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর তাতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। গোটা দেশেই সাম্প্রদায়িক হিংসা নয়া মোড় নেয়। যদিও বাংলাদেশের শেখ হাসিনা প্রশাসন কড়া হাতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। প্রায় দেড়শো জনকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের এই ভূমিকায় খুশি ভারত।