দেশ 

Indian National Congress : কংগ্রেসের অস্তিত্ব কী বিলীন হতে চলেছে , নাকি নতুন করে যাত্রা শুরু করবে কংগ্রেস/১

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মিডিয়ার প্রচারনায় শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দল নাকি অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে ! বিষয়টি কতটা বাস্তব ? কেন সংকট তৈরি হচ্ছে? ক্ষমতায় থাকার সময় সব মধু খাওয়ার পর এখন কেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করছেন কপিল-আজাদরা? রহস্য কী? তা নিয়ে কয়েক কিস্তি ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করবেন সেখ ইবাদুল ইসলাম ।

আজ প্রথম কিস্তি।

Advertisement

সেখ ইবাদুল ইসলাম : কংগ্রেস দল নিয়ে চর্চার শেষ নেই । কোন পথে হাঁটবে কংগ্রেস সেটাই এখন দেখার । কংগ্রেস দলের অন্দরে ভাঙনের সুর স্পষ্ট। একের পর এক প্রবীণ নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন কিংবা কংগ্রেসের দলের মধ্যে থেকেও গান্ধী পরিবারের সমালোচনায় সরব হচ্ছেন । অথচ একটা সময় এই সব নেতাদের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী করেছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছে, ক্ষমতায় থাকার সময় মধুর সবটাই খেয়েছেন। তারপর আজ সংকটকালে মুখ খুলছেন। এটা কেমন রাজনীতি ? এটা যে একপ্রকার সুবিধাবাদী রাজনীতি তা বলার অপেক্ষা রাখে না । এখন প্রশ্ন কংগ্রেস কী সত্যিই শেষ হয়ে গেছে ? নাকি নতুন করে তৈরি হচ্ছে ? আমার মতো একজন অর্বাচিন মানুষ স্পষ্ট বুঝতে পারছে যে কংগ্রেসের একটাংশ বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছেন। আর তাঁরাই কংগ্রেস দলকে পেছন থেকে ছুরি মারছে। এর ফলে কংগ্রেসের পক্ষে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ছে ।

আরএসএস বিজেপির ঘনিষ্ঠ নেতাদের থেকে কংগ্রেসকে মুক্ত করতে হবে । আর নিরবে সেই কাজ করে চলেছেন রাহুল গান্ধী। কয়েক মাস আগে রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় স্পষ্ট বলেছিলেন, মহাত্মা গান্ধী-নেহেরুর পথেই কংগ্রেসকে নিয়ে যেতে হবে । আর তিনি বলেছিলেন, আরএসএস -বিজেপি বিরোধী সব মানুষকে একজোট করতে হবে । যারা কংগ্রেসের মধ্যে থেকে আরএসএস-বিজেপির সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছেন তাদেরকে ব্রাত্য করতে হবে । রাহুলের এই বার্তায় অনেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা যাঁরা এতদিন ক্ষমতার সঙ্গে ছিলেন এবং এখনও ক্ষমতার সঙ্গে থাকার জন্য মোদী-শাহ-র সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছেন তাঁরা ভয় পেয়েছেন । কারণ তাঁদেরকে চিহ্নিত করে ফেলেছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী।

আর এতেই আগুনে ঘি পড়েছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই এখনও নরেন্দ্র মোদী জনিপ্রয়তা অটুট রয়েছে । তবে ২০২৪ সালের আগেই সেই জনপ্রিয়াতায় ভাটা পড়বে। এটা ভাল করেই জানেন মোদী-শাহরা। তাই তাঁদের এজেন্ট দিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে সংকট তৈরি করার চেষ্টা চলছে । যাতে বিজেপির বিকল্প হিসাবে কংগ্রেসকে মানুষ ভাবতে না পারে । এজন্যই পঞ্জাবে অমরিন্দরর সিংহের ব্লাকমেল, সিধুর অন্যায় আবদার। কপিল সিব্বলদের হুংকার। গোলাম নবী আজাদের বিশ্বাসঘাতকতা সবই হচ্ছে। এঁদের সবাইকে বিজেপির এজেন্ট বললে অত্যুক্তি হবে না । এঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আর একজন কংগ্রেস নেতা তিনি হলেন দিগ্বিজয় সিংহ। এই ভদ্রলোকের চক্রান্তেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে। তবু কংগ্রেস নেতৃত্ব এঁদেরকে গুরুত্ব দিয়েছেন । সম্প্রতি রাজ্যসভার সদস্যও দিগ্বিজয় সিংহকে করেছে কংগ্রেস। এখন এরঁ মুখে আরএসএস নেতাদের প্রশংসা। রাহুল গান্ধী এই সব ছদ্মবেশী আরএসএস ভক্তদের চিহ্নিত করে ফেলেছেন।

তাতেই এই সব পুরানো জনভিত্তিহীন নেতারা দল ছাড়ছেন,এটাকে জোরে সোরে প্রচার চালাচ্ছে মোদী-ভক্ত মিডিয়াগুলি যে কংগ্রেস শেষ। যে সব কংগ্রেস নেতারা মিডিয়ার সামনে বসে দলের সমালোচনা করছেন তাঁরা  ক’জন মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির সমালোচনা করেছেন……? এরপর আগামী কাল।

 

 

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ