উত্তরপত্র খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না, কমিশনের আইনজীবীর এই মন্তব্যে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ,”তা কী করে সম্ভব? বিষয়টি কেমন সন্দেহজনক শোনাচ্ছে “- মামলকারীদের দাবি “এখান থেকেই দুর্নীতির সূত্রপাত, বিসিএস দূনীর্তির মামলায় কমিশনকে তোপ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
আদালত সংবাদদাতা : পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন বিসিএস পরীক্ষায় দুর্নীতির মামলায় পরীক্ষার উত্তরপত্র দাখিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তরপত্র ও এম. আর শিট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ উঠেছে ওয়েষ্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস নিয়োগ পরীক্ষায় এক চাকরিপ্রার্থী একটি বিশেষ বিষয়ে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির রিপোর্ট আজ কমিশনের আইনজীবী পেশ করেন আদালতে। এরপরই হাইকোর্ট এবিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশনের কাছে। আজ কলকাতা হাইকোর্টে কমিশনের আইনজীবী আদালত জানান, যে চাকরি প্রার্থীকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে তার উত্তরপত্র পাওয়া যাচ্ছে না । কমিশনের আইনজীবীর মুখে এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন ,”তা কী করে সম্ভব? বিষয়টি কেমন সন্দেহজনক শোনাচ্ছে।” এরপরেই জনস্বার্থে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন , “এখান থেকেই দুর্নীতির সূত্রপাত মহামান্য আদালত।”
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “এটা পুরোপুরি একটা সার্ভিস সংক্রান্ত বিষয়। কেন এটা জনস্বার্থ মামলার মধ্যে পড়বে ? এটাকে সার্ভিস ম্যাটার হিসেবেই দেখা উচিত। সার্ভিস ট্রাইব্যুনালে পাঠানো উচিত।”
অন্যদিকে আরেকজন মামলাকারীর আইনজীবী উত্তরপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে কমিশনের আইনজীবী এই মন্তব্যের পাল্টা বলেন, “আসলে পরীক্ষায় “নট অ্যাটেম্পটেড”-কে “নট অ্যাভেলেবল (উত্তরপত্র পাওয়া যায় নি)” বলার চেষ্টা করেছেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী।”