Featured Video Play Iconকলকাতা 

বাংলার জনরব এর অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান আইনজীবী আবু সোহেল থেকে অধ্যাপক ও ছাত্রনেতা মনসুর হাবিবুল্লার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম : বাংলার জনরব ইউটিউব চ্যানেলের উদ্যোগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই লাইভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক জনাব সাইফুল্লাহ শামীম ও জাফর সাদাক আলী, সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আবু সোহেল এবং ছাত্রনেতা মনসুর হাবীব উল্লাহ।

দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠান কার্যত বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের কাছে এক নতুন বার্তা নিয়ে হাজির হলো। সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে লড়াই করার জন্য যিনি সর্বভারতীয় স্তরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন সেই আইনজীবীর আবু সোহেল কোন রাখঢাক না রেখেই বলেন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানে সংখ্যালঘুদেরকে সাংবিধানিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

Advertisement

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বলা হয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু স্টাটাস দেয়া হয়েছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যদি সংখ্যালঘু স্টাটাস প্রাপ্ত হয় তাহলে তাকে কোনোভাবেই সরকারের আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চনা করা যাবে না বলে এদিন আবু সোহেল মন্তব্য করেন। এই বিশিষ্ট আইনজীবীর মতে, সংবিধানের ৩০ নম্বর ধারায় সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত আছে সেই অধিকারকে আমাদেরকে আদায় করে নিতে হবে প্রয়োজন হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। আবু সোহেলের দিন ঘোষণা করেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে খুব শীঘ্রই মামলা করা হবে। আমরা মামলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।

আবু সোহেলের পাশাপাশি এদিন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুল্লাহ শামীম এবং জাফর সাদাক আলি কার্যত খানিকটা মেনে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। ছাত্রনেতা মনসুর হাবীব উল্লাহ দাবি তোলেন কেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের জন্য আলাদা হোস্টেল তৈরি হল না? কেন আজও বয়েজ হোস্টেল তৈরি করা হচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে? কেন আলিয়ার ছাত্ররা থাকার অভাবে গুমড়ে মরছে কেন কাঁদছে তারা ? এই প্রশ্ন তুললেন মনসুর হাবিব উল্লাহ। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একের পর এক যে প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিল সংখ্যালঘু দপ্তরের কাছে সে প্রজেক্ট কেন সংখ্যালঘু দপ্তর কার্যকারী করেনি?

এককথায় দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে অনেক আলোচনা হয়েছে সমালোচনা হয়েছে সবশেষে একটা কথায় বলতে হয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বমহিমায় রক্ষা করতে হবে এটাই হোক আমাদের শপথ। এই খবরের সঙ্গে অনলাইন অনুষ্ঠানের লিংকটা সংযুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। আগ্রহীরা বিষয়টিকে দেখতে পারেন অনুষ্ঠান ভালো লাগলে লাইক করবেন শেয়ার করবেন সাবস্ক্রাইব করবেন।

মনে রাখবেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের আবেগ। সেই আবেগকে যারা নষ্ট করার চেষ্টা করছে, ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, তাদের এই অশুভ আঁতাতকে ভেঙে দেয়ার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানকে আরো বেশি বেশি করে শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিন।  পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যতক্ষণ না এই বার্তা পৌছায় ততক্ষণ পর্যন্ত শেয়ার করতে থাকুন, শেয়ার করতে থাকুন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ