এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে চলেছে টাটা ?
বাংলার জনরব ডেস্ক : এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে চলেছে টাটা।গত কাল বুধবার ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। গত কাল দরপত্র জমা দিয়েছে টাটা । এরপরেই এয়ার ইন্ডিয়া বেসরকারিকরনে টাটার হাতে চলে যেতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, “লেনদেন উপদেষ্টা এয়ার ইন্ডিয়া বিলগ্নিকরণের জন্য আর্থিক দরপত্র গ্রহণ করেছেন। প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে চলে গিয়েছে।”
টাটার তরফেও এয়ার ইন্ডিয়া কেনার ব্যাপারে দরপত্র জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা এই জাতীয় উড়ান সংস্থাকে কেনার ব্যাপারে তারা আগ্রহী।
স্বাধীনতার আগে ১৯৩২ সালে টাটার হাত ধরে শুরু হয় টাটা এয়ারলাইন্স। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৬ সালে নাম বদলে হয় এয়ার ইন্ডিয়া। ১৯৫৩ সালে টাটার হাত থেকে এই উড়ানকে অধিগ্রহণ করে কেন্দ্র। যদিও ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করেন জে আর ডি টাটা। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘোষণা করেছিলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের দরপত্র নেওয়া হবে। সেইমতো, শেষদিনই দরপত্র জমা দিল ভারতীয় সংস্থা টাটা। দেনার দায়ে ধুঁকছে এই জাতীয় উড়ান সংস্থা।
বাজারে এই মুহূর্তে তাদের ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। সরকার আগেই ঘোষণা করেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণ হবে। ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করা হবে এই সংস্থার আওতায় থাকা বিমান ওঠা-নামা সংক্রান্ত সংস্থার। এছাড়াও বিক্রি করা হবে এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বই ও দিল্লির বাড়িও। এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০০ অভ্যন্তরীণ উড়ান ও ১ হাজার ৮০০ আন্তর্জাতিক বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া।
এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে টাটার হাতে এয়ার ইন্ডিয়া গেলে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মচারীদের চাকরির নিশ্চয়তা থেকে শুরু করে যাত্রী পরিবহনের সুরক্ষা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।