কলকাতা 

আলিয়া বিতর্কের অবসানে সংখ্যালঘুদের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে দক্ষ যোগ্য আধিকারিক পি বি সেলিমকেই দায়িত্ব দিক মুখ্যমন্ত্রী : এসএম শামসুদ্দিন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এসএম শামসুদ্দিন : আলিয়া বিতর্কের অবসান ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন জন্য দক্ষ ও যোগ্য আই এ এস পি বি সেলিমকে দায়িত্ব  দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন সংখ্যালঘু সমাজ দর্পন । এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট লেখক এবং বামফ্রন্ট সরকারের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে যে শানিত কলম ধরেছিলেন সেই এসএম শামসুদ্দিন আজ তাঁর ফেসবুক পেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি লিখেছেন,এই মুহূর্তে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অচল অবস্থার অবসান চাইছে বাংলার সংখ্যালঘু শিক্ষানুরাগী সচেতন মানুষ , বিতর্কের পক্ষ ও বিপক্ষের যুক্তি তর্ক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমে অন্যতম আলোচ্য বিষয় । এরফলে বিশবিদ্যালয়ের সুনাম সুখ্যাতি নষ্ট হচ্ছে , সঙ্গে সঙ্গে সরকার বিপুল অর্থ প্রদান করেও আজ প্রশ্নের মুখে কেন ? শুধুসাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক উদ্যোগ থাকা সত্ত্বে এই আধিকারিকদের কাজের ফলে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তিও প্রশ্নের মুখে ।
এতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সচেতন শিক্ষানুরাগী মানুষের মনে প্রশ্ন চিহ্ন , ক্রমশ বিষয়টি ভাইরাল হতে হতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ,যত দ্রুত সম্ভব এর অবসান বা নিস্পত্তি হওয়া প্রয়োজন বাংলার বিভিন্ন জেলার ও শহরের অসংখ্য সচেতন বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বিশেষ করে যাঁরা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সক্রিয় ও মানসিকভাবে 2011 থেকে সমর্থন করে আসছেন তাঁদের ও আমাদের মত অবিলম্বে রাজ্য সংখ্যালঘু দপ্তরের প্রধান সচিব পদে আই এ এস – পি. বি. সেলিম সাহেবকে আনা হোক ।
পি. বি. সেলিম সাহেব রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন এর আগে ,তাঁর ব্যবহার, অতি দ্রুত তাৎক্ষণিক সমাধানের কৌশল এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ হিসাবে যথেষ্ট সুখ্যাতি আছে ,মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একান্ত বিশ্বাসী আস্থাশীল আই এ এস পি. বি. সেলিম সাহেব ।
2001 সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডার আই এ এস , তিনি গত 19 বছর যাবৎ আই এ এস হিসাবে কেরালা ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন পদে আসীন ছিলেন ,তিনি ব্যারাকপুরের এস ড়ি ও হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন ,এরপর ও এস ড়ি এবং  আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন ,দক্ষিণ 24পরগনার  ড়ি এম কেরালা রাজ্য সিভিল সাপ্লাই কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন ,তিনি কেরালার কোজিকোড ও কাননূর জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া ও দক্ষিণ 24 পরগনার ডি এম ছিলেন , রাজ্য স্বাস্থ্য বীমা যোজনার সি ইও ছিলেন ।
বর্তমানে তিনি WBPDCL এর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ,এবং এর সঙ্গে তিনি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের ও এস ড়ি সেক্রেটারি ,গিভেন্স সেলের (গণ অভিযোগ) বিভাগের দায়িত্বে আছেন ।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাজ নিষ্ঠা সততা এবং যে কোনো সমস্যার সমাধানে তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় সমাধান করার কৌশল সম্পর্কে সচেতন , দক্ষ এই অফিসারকে পছন্দ করেন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁকে পছন্দ ও শ্রদ্ধা করেন ,সেলিম সাহেব আন্তরিকতার সাথে যে কোনো বিষয় শোনেন এবং সমাধানে সচেষ্ট ,নিরহংকারী অত্যন্ত আন্তরিক সুমিষ্ঠ ব্যবহারের অধিকারী ,
অভিযোগকারীদের উত্তরে স্বতঃপ্রণোদিত কেউ কেউ সরকারের পক্ষ নিয়ে সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিতর্ক করছেন তাঁরাও যে আগুনে ঘি ঢেলে অগ্নিশিখা চ্চড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা নিচ্ছেন এবং এতে যে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ঠ করতে সহায়তা করছেন সে ভাবনা না ভেবে নিজেদের প্রচারের আলোয় এনে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন বলেই চিন্তাশীল আলিয়া অনুরাগীরা মনে করছেন । যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে, সত্য ও মিথ্যা যাই উঠে আসুক ,তাঁর পুরস্কার বা তিরস্কার হবে ,অবিলম্বে এই বিতর্কের অবসান হওয়া একান্ত বাঞ্চনীয় ।
সরকারের দায়িত্বশীলদের সদর্থক ভূমিকা নিতে অনুরোধ করছি ,এবং দলের দায়িত্বশীলদের
কিছু আত্মপ্রচারপ্রিয় মানুষের অংশগ্রহন সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া একান্ত আবশ্যক ।
এস . এম .শামসুদ্দিন
(প্রাবন্ধিক ও লেখক – বাম শাসনে সংখ্যালঘুদের হাল হকিকত 2011 ,সংখ্যালঘু উন্নয়নে সাচ্চার কমিটির রিপোর্ট ও সমাজসেবী বুদ্ধিজীবীদের ভাবনা 2007 )

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ