আন্তর্জাতিক 

হযরত ওমরের শাসন ব্যবস্থা মতোই শরিয়া শাসন লাগু হবে আফগানিস্থানে সবাই পাবে সমঅধিকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিলো তালিবান প্রশাসন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ইসলামী খেলাফতের যুগে ফিরে যেতে চাইছে আফগানিস্থানে সদ্য শাসন ক্ষমতায় ফেরা তালিবানরা। ইসলামী খেলাফত বলতে তারা কি বোঝাতে চেয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট না হলেও এটা ঠিকই হযরত মুহাম্মদ সা. আদর্শ মেনেই আফগানিস্তানের শাসন পরিচালনা করবেন বলে দাবি করছেন তালিবানরা। আফগানিস্তান থেকে পাওয়া বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে তালিবান নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা এমন শাসনব্যবস্থা আফগানিস্তানে গড়ে তুলতে চাইছে যা থেকে সমগ্র বিশ্ব শিক্ষা নেবে।

নারীর উলঙ্গ সংস্কৃতি নয় বরং শালীন পোশাকে নারীকে সরকারি সমস্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছে তালিবান প্রশাসন। হযরত ওমরের শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাইছে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা। কিছু মানুষ আতঙ্কে হয় দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাইছিল। পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে প্রচার এতটাই তালিবান বিরোধী ছিল যে তাতে আফগান জনতার মধ্যে খানিকটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

Advertisement

তবে গত ৪৮ ঘণ্টায় তালিবানরা শাসন ক্ষমতা পাওয়ার পর একজনের উপরেও অত্যাচারের নজির নেই। বরং শান্তিপূর্ণভাবে বিনা রক্তপাতে কাবুল দখল তারা করেছে।

এই প্রেক্ষাপটে তালিবানি সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি কমিশনের সদস্য এনামুল্লা সামানগানি? তার কথায়, ”ইসলামিক শাসন কখনও মহিলাদের আক্রান্ত হতে দিতে চায় না। শরিয়ত আইন মেনে সরকারি কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এখনও সরকারি পরিকাঠামোর সবটা পরিষ্কার নয়। তবে অভিজ্ঞতার নিরিখে বলতে পারি সেখানে ইসলামিক নেতৃত্বই পুরোভাগে থাকবেন। সেই সঙ্গে সব পক্ষকেই সরকারে যুক্ত করা হবে।”

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম নানা মন্তব্য করলেও কিন্তু বাস্তবটা তারা এড়িয়ে যাচ্ছে । ইসলাম ধর্ম ও হযরত মুহাম্মদ এর আদর্শে কোন সময়ে কারও প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব পোষণ করা হয় না। ইসলাম এই শিক্ষা সমগ্র বিশ্বকে দিয়েছে। প্রকৃত অর্থে যদি তালিবানরা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তাহলে তারা অবশ্যই এক নতুন আফগানিস্তান করে তুলবে যা বিশ্বের কাছে নজির হিসাবে চিহ্নিত হবে।

যে সকল সংবাদমাধ্যম বলছেন বিশ্ববাসীর চাপে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সমালোচনার চাপে তালিবানদের সুর নরম হয়েছে তারা ভুল করছেন। কারণ এই তালিবানরা ইসলামের নামে শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছে। ইসলামী শাসনব্যবস্থা মানে হযরত ওমরের শাসন ব্যবস্থা সেই শাসনব্যবস্থা যদি কার্যকরী হয় তাহলে সকলের অধিকার থাকবে। নারী থেকে শুরু করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব অধিকার ভোগ করার পাশাপাশি সব নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা ও তারা পাবে এ নিয়ে সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। কোনো গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করাও তাঁদের কাজ নয় তারা যে কাজটা করবে হযরত ওমরের শাসন কায়েম করবে।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ