জেলা 

কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তার বাবা ও ছেলে তদন্তে পুলিশ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পকে কেন্দ্র করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগরে বালিকা বিদ্যালয়ের 32 ছাত্রীর সঙ্গে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই অবশ্য পুলিশ অভিযুক্ত এবং অভিযুক্তের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্ত চলছে এর পেছনে আর কেউ আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মজিলপুর শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড়। প্রায় ৮ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক।

Advertisement

সংবাদে প্রকাশ প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করেন মজিলপুর শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা মণ্ডল। তিনি ২০১৯ সালে ৩০ জুলাই প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে ওই স্কুলে যোগদান করেন। তার আগে থেকেই অবশ্য অভিযুক্ত সন্দীপ রায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে ওই স্কুলে কাজ করত। তবে তার কাজে সন্দেহ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যে সন্দীপকে ওই কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এদিকে, গত সপ্তাহে বেশ কয়েকজন ছাত্রী প্রধান শিক্ষিকাকে জানান তারা কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পায়নি। এরপর গত ২১ জুলাই স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষিকা জয়নগর  থানার দ্বারস্থ হন।

প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ জানতে পারে, গত ৩ বছরে প্রায় ৩২ জন পড়ুয়াকে ঠকিয়েছে সন্দীপ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলা শিক্ষা ও কন্যাশ্রী পোর্টালে ছাত্রীদের নাম-ঠিকানা আপলোড করত সন্দীপ। তবে  ছাত্রীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিত না, পরিবর্তে নিজের-সহ তার অন্যান্য পরিচিতদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিত । ফলে এইসব ছাত্র ছাত্রীদের কন্যাশ্রীর টাকা খুব সহজেই ওইসব অ্যাকাউন্টে জমা পড়তো।

আর খুব সহজেই সে সমস্ত অ্যাকাউন্টে চলে আসত টাকা। এভাবে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সন্দীপ। এ কাজে তাকে তার বাবা প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করত বলেও অভিযোগ। তাই সন্দীপের সঙ্গে তার বাবাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার নিন্দায় সরব জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার প্রশাসক সুজিত সরখেল। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ