কলকাতা 

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের পদত্যাগের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নাগরিকরা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম : বাংলার জনরব বেশ কয়েক মাস ধরেই বলে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করতে তারই দলের কিছু মানুষ চেষ্টা করে চলেছেন একইসঙ্গে চেষ্টা করে চলেছেন কিছু প্রশাসন কর্তা। আমাদের এই দাবি যে কতটা সত্য তা প্রমাণ হয়ে গেল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের মন্তব্যকে ঘিরে। অধ্যাপিকা মহুয়া দাস গতকাল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘একজন মুসলিম মেয়ে একজন মুসলিম লেডি এবার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে।’ কেন তিনি মুসলিম শব্দটি ব্যবহার করলেন? মহুয়া দাস নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি বলে দাবি করে থাকেন। নিজে পেশায় একজন শিক্ষক শিক্ষকের মুখ থেকে বিশেষ জাতি ধর্মের কথা তুলে সেই ধর্মের একটি মেয়ে প্রথম হয়েছে এ কথা বলাটা নৈতিকতাই বাধল না কেন?

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে অধ্যাপিকা মহুয়া দাস যে মন্তব্য করেছেন সেই মন্তব্যের জেরে আর যাই হোক পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি যে বিনষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অধ্যাপিকা মহুয়া দাসকে  এখনই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে সাধারণ নাগরিকরা ফেসবুকে সরব হয়েছেন।

Advertisement

গতকাল থেকে ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রামে রীতিমতো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অধ্যাপিকা মহুয়া দাসের পদত্যাগের দাবিতে নাগরিকরা সরব হয়েছেন। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করলে বলা যেতেই পারে ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে জাতীয় সংহতি রক্ষার স্বার্থে এখনই মহুয়া দাসকে সরিয়ে দেয়া উচিত। তাতে অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি অটুট থাকবে। কারণ এই মহুয়া দাসের মত তথাকথিত অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের এই ধরনের মন্তব্যের জেরে সম্প্রীতি বাঁধন আলগা হচ্ছে। সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে সমাজের স্বার্থে, শৃংখলার স্বার্থে অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে মহুয়া দাসকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।

আমাদের বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত উদার মানসিকতার নেত্রী এই ধরনের মন্তব্য মেনে নেবেন না। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। কারণ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ভোট দেন। তাকে দেখেই সরকারকে সমর্থন করেন মহুয়া দাসদের নয়। তাই একটা মহুয়া দাসকে সরিয়ে দিলে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ক্ষতি হবে না বরং তা নজির হয়ে থাকবে দেশ এবং জাতির কাছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ