কলকাতা 

চার দিনের মধ্যে সমস্ত ইয়াস দূর্গতদের দুয়ারে পৌছে দিতে হবে ত্রাণ নির্দেশ নবান্নের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ইয়াস ঝড় প্রায় দু মাস আগে বাংলায় আছড়ে পড়েছিল । কিন্ত সরকার ইয়াসে ক্ষত্রিগ্রস্থদের পাশে সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়াতে পারেনি । কারণ সবটাই সরকারি আধিকারিকদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল । তারপর শুরু হয় আবেদন নেওয়ার পালা । কিন্ত সাধরণ ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি প্রশাসন যথা সময়ে । নবান্ন থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল ১লা জুলাই থেকে দুয়ারে ত্রাণ পৌছাবে । ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা চলে যাবে । কিন্ত আজ ১৩ জুলাই হয়ে যাওয়ার সবার কাছে এখনও দুয়ারে ত্রাণ পৌছায়নি ।

এখবর নবান্নের কাছে পৌছাতেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। তাই এবার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী শুক্রবার ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে সবার কাছে ত্রাণের টাকা পৌছে দেওয়ার ।  ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ দুয়ারে ত্রাণে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে গিয়েছেন। তবে অনেক জেলাতে ঘূর্ণিঝড়ের পরেও আবহওয়া ভাল না থাকায় আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ ব্যাহত হয়েছে। আর তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবাইকে ক্ষতিপূরণ পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে এবার দ্রুত যাতে সবাই ত্রাণের টাকা পান, সেদিকে নজর দিল রাজ্য।

Advertisement

আমফানের থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের সরাসরি ত্রাণ পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্পের ক্যাম্প শুরু হয়েছিল ৩ জুন থেকে। মাত্র একবছর আগে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে যায় রাজ্য। সেবার পরিস্থিতি সামলাতে ও মানুষকে সাহায্যে করতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণের কাজে ত্রিপল ও চাল-ডাল সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া করেন। কিন্তু তাতেই কাল হয়, বিভিন্ন জায়গায় ত্রিপল চুরি, ত্রাণের চাল চুরি ও ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে। বিষয়টিকে বিধানসভা নির্বাচনে ইস্যু করে বিজেপি। আর তাই এবার ত্রাণ বণ্টনে কোও ফাঁক রাখতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কবলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ইয়াস বিদায় নিতেই বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেবে সরকার। এই কাজের জন্য তাঁর সরকার ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে সরকার। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ক্যাম্প করে আবেদন গ্রহণ করেন সরকারি আধিকারিকরা। আবেদন সরাসরি চলে যায় জেলাশাসকের দফতরে। জেলাশাসক এই তালিকা যাচাই করেন বিডিওদের মাধ্যমে। এর ফলে দূনীর্তি কম হবে বলে মনে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । আমলাদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ফলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে । ফলে বেশ অস্বস্তিতে নবান্ন ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ