দেশ 

মাদ্রাসা বন্ধ করে হাইকোর্টে ভৎর্সনার মুখে বিজেপি সরকার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরি : বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট মেরুকরণের লক্ষ্যে অসমের বিজেপি সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসাগুলি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । সেই সিদ্ধান্ত যে আজ বুমেরাং হতে পারে তা হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। মাদ্রাসা তুলে দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। কয়েকদিন আগে গুয়াহাটি হাইকোর্ট এই মামলার শুনানিতে অসমের বিজেপি সরকারের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে সংবিধানে সংখ্যালঘুদের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তা মাদ্রাসা তুলে দিয়ে কীভাবে সরকার রক্ষা করবে । আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সাংবিধানিক অধিকারের প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে গুয়াহাটি হাইকোর্ট। এরফলে বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেছে অসমের বিজেপি সরকার ।

কারণ ভারতীয় সংবিধানের ২৯ ও ৩০ ধারায় বলা হয়েছে, নিজস্ব ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রক্ষার জন্য সংখ্যালঘুরা ( ভাষিক ও ধর্মীয়) নিজস্ব  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়তে পারবে । আর এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কোনো সরকার ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না ।

Advertisement

অসম সরকার সরকারি মাদ্রাসা তুলে দেওয়ার জন্য বিধানসভা আলাদা করে বিল পাশ করে , পরে তা আইনে পরিণত করে । সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে অসমের বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু সমাজের ব্যক্তিত্ব গুয়াহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ । হাইকোর্ট শুনানীর প্রথম দিনেই সরাসরি সংখ্যালঘুদের সাংবিধানকে অধিকার কীভাবে রাজ্য সরকার রক্ষা করবে তা জানতে চেয়েছে হেমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারের কাছে । এই মামলাটি সংখ্যালঘুদের পক্ষে লড়ছেন সঞ্জয় হেগড়ে ও হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরি সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী । ১৫ দিন পরেই জানা যাবে সরকার এই প্রশ্নে গুয়াহাটি হাইকোর্টকে কী বলেছে ? আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে বলে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন ।

উল্লেখ্য, সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসাগুলিকে বন্ধ করে তা স্কুলে রূপান্তরিত করা হয় । লকডাউন কাটার পরেই নতুন ভাবে এই মাদ্রাসাগুলি স্কুল হিসাবে চালু হত । এই পরিস্থিতিতে গুয়াহাটি হাইকোর্টের এই নির্দেশে বিপাকে পড়েছে অসমের বিজেপি সরকার ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ