কলকাতা 

অনলাইনে অনুসন্ধানের কর্মশালা : মানসিক অবসাদ কাটাতে সন্তানের পাশে থাকবেন কীভাবে, জানালেন প্রধান শিক্ষক ও মনোবিদরা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

১৩ জুন ২০২১ : রবিবারের পড়ন্ত বিকেলে গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয় ‘মন সন্ধান’ নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় অনলাইনে হাজির হয়েছিলেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ শিক্ষকেরাও। তবে মুখ্য আকর্ষণ ছিল অভিজ্ঞ মনোবিদদের উপস্থিতি এবং নানা আঙ্গিকে তাঁদের সুচিন্তিত পরামর্শ।

এদিন’ মন সন্ধানের’ আলোচ্য বিষয় ছিল, অতিমারির প্রকোপে দীর্ঘ কাল স্তব্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক জীবনে কোনো ভাবেই মানসিক অবসাদের শিকার যেন আমরা কেউ না হয়ে পড়ি। বিশেষ করে নয়া প্রজন্ম’, অর্থাৎ আমাদের ঘরের সন্তানরা। তার জন্য আমাদের করণীয় কী!

Advertisement

এদিন অনুষ্ঠানের শুভ আরম্ভ করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থনা, করোনার প্রকোপ আর যেন খুব বেশিদিন না থাকে। তবে মনে রাখতে হবে মূল্যবান এই সময় যেন আমাদের কোনো ভাবে নষ্ট না হয়। তারাই নতুন পথের সন্ধান পায়, যারা আন্তরিকতার সঙ্গে, সততার সঙ্গে চেষ্টা প্রচেষ্টা চালায়। তিনি সাহস দিয়ে বলেন, আমি নিশ্চিত আজকের নয়া প্রজন্মকে করোনা কোনো ভাবেই থামিয়ে রাখতে পারেনি এবং পারবেও না।

এদিন আলোচনার সূত্রপাত করেন বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খান। তিনি বলেন আমরা যেন কোনভাবে হতাশার শিকার না হই। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও অবস্থাকে নিজের অনুকূলে আনতে পারার চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে নিতে হবে। এই কাজে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে অভিভাবকেরা তো আছেনই , আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সমানভাবে আছি।

এই অধিবেশনের মুখ্য বক্তা বিশিষ্ট মনোবিদ সঞ্জিত সেনগুপ্ত। অভিভাবকদের নানারকম পরামর্শ ছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। আমাদের ঘরের খুদে পড়ুয়াদের সম্পর্কে একটা বিভ্রান্তিকর মন্তব্য প্রায়ই শোনা যায়, যে, তারা নাকি অনলাইনে পড়াশোনা এখনো ধাতস্থ হতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে সঞ্জিত বাবু বলেন আমাদের ঘরের বর্তমান চিত্র কিন্তু অন্য কথা বলে। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায় ৭০ শতাংশ অনলাইন পড়াশোনাতে উপস্থিত থাকে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক অবস্খাতেই তো তাই দেখা যায়, ৩০ শতাংশ বাচ্চা স্কুলে অনিয়মিত। সুতরাং কথাটা ঠিক না, পরিস্থিতির বদল হয়েছে, ওরা আজ বেশ অনেকটাই অনলাইনে অভ্যস্ত।

তিনি আরো বলেন, কাজ এখনো অনেক বাকি, প্রত্যন্ত গ্রামেও অনলাইন কানেক্টিভিটি বাড়াতে হবে। শিক্ষক মহাশয়দের আরো বেশি ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। অনুসন্ধানের এই আয়োজনে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ড. নিপম কুমার সাইকিয়া, ড. নওয়াজেশ মন্ডল, শশাঙ্ক শেখর মন্ডল, ড. দেবব্রত মুখার্জী, ড. কমল কৃষ্ণ দাস, ড. অমলেন্দু বসু, আলী আহসান, ড.জয়ন্ত ভাদুড়ী, সাহাবুল ইসলাম, গৌরাঙ্গ সরখেল, আখের সর্দার প্রমূখ।

আগামী রবিবার এ ধরনের আরও একটি আকর্ষণীয় অনলাইন অনুষ্ঠানের কথা এ দিন ঘোষণা করা হয়। মাধ্যমিক – উচ্চ মাধ্যমিকের পর পড়াশোনার গতি-প্রকৃতি , বিষয় নির্বাচন, চাকরির বাজার, উজ্জল কেরিয়ার গড়ার নিজস্ব কথা শোনাবেন বিভিন্ন পেশার গুণীজনেরা, থাকবেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের আগামী দিনের এই সভায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান এ দিনের আয়োজন, ‘মন সন্ধানের’ যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কমল দাস।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ