লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আবার নতুন করে দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখালেন, কাজের তুলনা করলেন আগের সরকারের সঙ্গে, আবেগ ছিল সমাধান নেই
নিজস্ব প্রতিনিধি : মোদীর প্রথম ইনিংসের শেষ স্বাধীনতা দিবসের ভাষনে দেশবাসীকে আবার নতুন করে আশ্বাস বাণী শোনালেন। বিগত পাঁচ বছরে তিন কী করেছেন তার ফিরিস্তি দেওয়ার সঙ্গে আগের সরকারগুলি কী করেনি তারও বিবরন তুলে ধরেছেন । বিরাট কোহলী ব্যাটিং-এর মতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাষণের সুর থাকলেও তা যেন মুল্যবৃদ্ধিতে অনেকটাই ম্লান মনে হয়েছে। তাই ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনী জনসভার মত লালকেল্লার মঞ্চকে ব্যবহার করলেন। আর কয়েক মাস পরেই দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন, সেই নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করতে পারলে তবেই নরেন্দ্র মোদীর কুর্সি থাকবে, নচেৎ থাকবে না। এই প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মোদী আজকের ভাষণের যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে।তবে সেই ভাষণ থেকে ২০১৯-এর নির্বাচনের সুর যেন বেঁধে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রত্যেকের জন্য ঘর, বিদ্যুত, জল, শৌচাগার, বিমা, নেট-যোগে ডাক দিয়েছেন তিনি।স্বাধীনতার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৭১ টি বছর। দেশে এখনও প্রত্যেকের জন্য ঘর, বিদ্যুত, জল, শৌচাগার, বিমা কিংবা ইন্টারনেট সম্ভবপর হয়নি। তবে তা ভবিষ্যতে সম্ভবপর হতে পারে। ৭২ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে সেই লক্ষ্যেই কাজ করার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সমগ্র দেশজুড়ে শান্তি বিরাজ করছে ।ত্রিপুরা, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশে এখন শান্তি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন মোদী।
দুর্নীতি ও কালো টাকা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে দূনীর্তি কমেছে । কালো টাকা আনার চেষ্টা চলছে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকারের চালু করা উজ্জ্বলা ও সৌভাগ্য যোজনায় দেশবাসীর মান ও সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে তিনি বলে মন্তব্য করেছেন । কয়েক বছরের মধ্যেই মহাকাশে ভারতের পতাকা উড়াবেন আমাদের দেশের বিঞ্জানীরা বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। বিশ্বের সর্বত্র এখন ভারতের আওয়াজ শোনা যায়। আগে অনেক জায়গার দরজা ভারতের জন্য বন্ধ ছিল বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী।
সেনা জওয়ানদের একপদ এক পেনশন নীতি তাঁর সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে তিনি দাবি করেন । তাঁর সরকারের আমলে কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে জিএসটি ফেলে রাখা হলেও, তাঁর সরকারই জিএসটি লাগু করেছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাহস তাঁর সরকারের ছিল বলেই কাজ সম্ভব হয়েছে।
দেশে কর্মসংস্থানের জোয়ার এসেছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।তবে মোদীর ভাষণে নতুন কিছু নেই বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন। তাঁদের মতে ভাষণে বাজিমাত করার চেষ্টা করেছন প্রধানমন্ত্রী কিন্ত ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তিনি কী করবেন তা নিয়ে কোন বার্তা মোদীর ভাষণে নেই।