অন্যান্য 

ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকদের সঙ্গে গুণীজনদের অনলাইনে আলাপচারিতা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

১৬ মে ২০২১ : আগ্রাসী করোনার ভয়াবহ থাবা যখন অনেকটা বিস্তার করেছে আমাদের সমাজে, প্রতিদিন ঘটছে মর্মান্তিক মৃত্যু। এরকম এক ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মোড় ঘুরিয়ে মানসিক স্থৈর্য বজায় রেখে আবার কী করে স্বাভাবিক জগতে ফিরে আসা যায়, তা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় অনলাইনে হয়ে গেলো এক খোলামেলা অন্তরঙ্গ আলাপচারিতা। ক্লাস এইট থেকে টুয়েলভ এর ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছিলেন তাদের অভিভাবকেরাও। আলাপচারিতার অন্য প্রান্তে ছিলেন শিক্ষা জগতের বিদগ্ধ গুণীজনেরা। বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খান, বিজ্ঞানী শৈবাল রায়, অধ্যাপক শুভময় দাস, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক শেখর মন্ডল, বিশিষ্ট মনোবিদ অরিজিৎ রায়, শিক্ষক সাহাবুল ইসলাম, গৌরাঙ্গ সরখেল, নায়ীমুল হক প্রমুখ।
করোনার এই প্রাদুর্ভাবকালে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা, মূল্যায়ন ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করেন অভিভাবকেরা। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক এর মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাসমূহ একের পর এক স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকখানি নিরাশ হয়ে পড়ছে সন্তানেরা কিংবা অনলাইনে ক্লাস করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কিংবা মনসংযোগ ঠিক রাখতে পারছে না তারা । দিন দিন তারা যেন চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে, এমনই সব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অভিভাবকেরা।


সমস্ত প্রশ্নের উপর আলোচনায় অংশ নেন প্যানেলিস্টরা। তাঁরা বলেন অতিমারির এই সময়ে অভিভাবকদের অনেক বড় ভূমিকা নিতে হবে, সমস্ত ব্যাপারেই খুব পজিটিভ থাকতে হবে, হতাশামূলক কোনো কথাবার্তা বলা একেবারেই যাবে না , ফ্রেন্ড- ফিলোসফার – গাইড এর ভূমিকায় থাকতে হবে বাবা মাকে। তাঁরা আরো বলেন প্রকৃতিবান্ধব হতে হবে আমাদের সকলকে। দিনের বেলা কাজ এবং রাতের বেলা বিশ্রাম – এ কথা ভুলে যাওয়ার ফলে আমরা নিজেদের অজান্তেই ডেকে আনছি নানান বিপদ। অতি আধুনিকতার নামে আমরা যেভাবে আমাদের জীবন শৈলীতে বিশৃঙ্খলা এনেছি তা পুনরায় ভাবতে হবে এবং যত শীঘ্র সেখানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারবো ততই আমাদের কল্যাণ। সে দিক দিয়ে ভাবলে হয়তো নতুন এক দিগন্ত খুলে দিল এই করোনা নামক ভাইরাসটি।
এদিনের আলোচনা শুরু হয় মুজিবুল হকের স্বরচিত কবিতা পাঠ দিয়ে। এদিনের মুখ্য আকর্ষণ ছিল কৃতী ছাত্র মাসুম আখতার। ২০১৭ সালে মাধ্যমিকে চতুর্থ এবং ২০১৯ – এ উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী মাসুম বর্তমানে এমবিবিএস কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার স্কুল পর্যায়ের পড়াশোনা অভিজ্ঞতার কথা দিয়ে শুরু হয় সূচনা পর্ব। সে শোনায় সুদূর কাকদ্বীপ থেকে কলকাতা এসে পড়াশোনা করতে তার লড়াইয়ের কথা। সকাল ছটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাত এগারোটায় ফিরতে হত তাকে। এরকম ছিল তার লড়াইয়ের কাহিনি।
এদিনের অনলাইন অনুষ্ঠানে ভীষণভাবে উদ্বুদ্ধ হয় উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা, সন্তোষ ব্যক্ত করেন তাদের অভিভাবকেরা।
আবারও এধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন অনলাইনে করার বন্দোবস্ত হবে বলে জানান বিশিষ্ট সংগঠক আখের সর্দার।

Advertisement

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

fourteen − twelve =