আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে ভাঙড়ে হবে না পাওয়ার গ্রিড, হবে পাওয়ার ষ্টেশন, চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার ,আলোচনায় মিলল রফা সূত্র
নিজস্ব প্রতিনিধি : দীর্ঘ আন্দোলন ও কয়েকজনের মানুষের রক্তে রাঙা ভাঙড় আন্দোলনের যৌক্তিকতা মেনে নিল সরকার ।শেষ পর্যন্ত আলোচনাতেই মিলল ভাঙড় আন্দোলনের সমাধান। ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে ভাযড়ে হবে না পাওয়ার গ্রিড ভাঙড়ে হবে আঞ্চলিক পাওয়ার স্টেশন। এই দাবি সরকার মেনে নেওয়ার পরই আন্দোলনকারীরা এখানে কাজ করার অনুমতি দিল সরকারকে। সেইসঙ্গে যেসব চাষিদের জমির উপর দিয়ে হাইটেনশন লাইনের খুটি পোতা হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসও দিল রাজ্য প্রশাসন।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা শাসক অফিস আলিপুরে ভাঙড় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এক আলোচনায় বসে প্রশাসন। সেই বৈঠকেই জট কেটে পুনরায় বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করার পথ খুলে যায়। ওখানে পাওয়ার গ্রিড নয়, সাবস্টেশন তৈরি হবে এই শর্তে রফা হয়। তারপর ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের ক্ষতিপূরণের দাবিও মেনে নেওয়া হয়।
ভাঙড় আন্দোলনের মুখ রেডস্টার নেতা সদ্য জামিনে মুক্ত অলীক চক্রবর্তীও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সরকার এখন নমনীয়। প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করতে তৎপর হয়েছিল। সেইমতো আমরাও প্রস্তাব দিয়েছি। সরকার তা মেনে নিয়েছে। তাই সমাধান সূত্রও বেরিয়ে এসেছে। ভাঙড়ের আন্দোলন সিঙ্গুর হয়ে উঠুক চায়নি প্রশাসন।
তাই নমনীয়তার বার্তা সরকারের পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ আন্দোলনের পর আজ এমন চুক্তি স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি দিয়েছে আন্দোলনকারীদের। রেডস্টার নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরি বলেন, “আজ এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটল। আন্দোলনকারীদের তরফে ৫০ জন চুক্তিপত্রে সই করেছেন। আমিও সই করেছি আন্দোলনকারী হিসাবে। এই জয় আন্দোলনের জয়।” অলীক চক্রবর্তী বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুর সমাধান হোক। অবশেষে সেটাই হল। আমরা খুশি।”জেলাশাসক রত্নাকর রাও বলেন, “মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে পাওয়ার সাব স্টেশনের কাজ। রাজ্য সরকারের সমর্থনে এটা সম্ভব হল। কোনও সমস্যা হলে সকলকে নিয়ে তৈরি করা জেলা প্রশাসনের একটি সাব কমিটি এর সমাধান করবে।”