হিন্দুত্বই তাদের ভরসা বাংলায় এসে অনুপ্রবেশ-শরণার্থী ইস্যুকেই তুলে সেই বার্তায় দিলেন অমিত
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতার মেয়ো রোডে সভা থেকে বিজেপি সভাপতি হিন্দুত্বকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে গেলেন। তিনি আবার অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থী ইস্যুকে সামনে এনে এই রাজ্যে হিন্দুত্বের তাস খেলে গেলেন। এদিনের সভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কার্যত মমতার প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ বলে দিলেন,দুর্গাপুজোর বিসর্জন এবং সরস্বতী পুজো বন্ধ করার মত ঘটনা আবার এই বাংলায় ঘটলে নবান্নের প্রতিটি ইট খুলে নেবে বিজেপি কর্মীরা ।
তিনি এদিন বলেন,বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কিন্তু শরণার্থীদের পক্ষে। শরণার্থীদের জন্য নাগরিকত্ব বিল আনা হবে বলে তিনি এদিনের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করেন। অমিত শাহের কথায়, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক হল অনুপ্রবেশকারীরা। সেই কারণেই অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে এখন আওয়াজ তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাদেশে ফেরাবই। শরণার্থীদের পাশে থাকব আমরা। ‘অন্যদিকে মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানো হবে, কারণ সীমান্তের ওপার থেকে রোজগার বা বাসস্থান খুঁজে পেতে, কিংবা কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এদেশে এসেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে (বাংলায়) বাংলাদেশিরা অস্ত্র হাতে ঘুরছে, বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে৷ এ চলতে পারে না৷ অসমের মতই রাজ্যেও এনআরসি প্রয়োজন৷’’
একটানা আক্রমণ। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ছুড়ে ফেলার ডাক। কলকাতায় যুব মোর্চার সমাবেশ থেকে BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কার্যত তুলোধনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আনলেন জেহাদিদের মদত দেওয়ার মতো একগুচ্ছ অভিযোগ। বিজেপির সভাপতির অভিযোগ, ভোট ব্যাঙ্কের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল। মদত দিচ্ছে জেহাদিদের। রাজ্যের জেলায় জেলায় গড়ে উঠছে অস্ত্র কারখানা।
প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে দুর্গাপুজোর বিসর্জন এবং সরস্বতী পুজো বন্ধ করার প্রসঙ্গ। অমিত শাহ বলেন, “সবকিছুর একটা সীমা আছে। এরপর এই ধরনের চেষ্টা হলে বিজেপি কর্মীরা নবান্নের প্রত্যেকটা ইট খুলে নেবে।” রাজ্য সরকারকে কার্যত উপড়ে ফেলার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গেলেন অমিত।