কলকাতা 

বিজেপি-র দয়ায় আমার বাস করি না,এটা আমাদের দেশ কোনো শক্তি আমাদের তাড়াতে পারবে না এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি-আরএসএসকে তোপ জমিয়ত নেতা সিদ্দিকুল্লাহ-র

শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : জন্ম সূত্রে আমরা ভারতীয়, পৈতৃক সূত্রে আমরা ভারতীয় এবং উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা ভারতীয় আছি এবং ইনশাআল্লাহ থাকব। পৃথিবীর কোনো শক্তি আমাদের তাড়াতে পারবে না”। অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ইস্যুতে মহাজাতি সদনে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের সভাপতি ও রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি সোমবার এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলার মাটি ভালাবাসার মাটি, সম্প্রীতির মাটি এই মাটিতে দাঁড়িয়ে বিভেদ তৈরি করতে কেউ পারবে না। জনাব সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি অসমের নাগরিক পঞ্জি থেকে ৪০ লক্ষের নাম বাদ পড়ার নেপথ্যে বিজেপির বিশেষ উদ্দেশ্য কাজ করছে বলে তিনি মনে করেন। দেশে বিভেদের রাজনীতির মধ্য দিয়ে এদেশে বিজেপি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অসমে যা ঘটেছে তার পেছনে গভীর উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্র আছে বলে তিনি মনে করেন।

এদিন জনাব সিদ্দিকুল্লাহ কার্যত বিজেপিকে চ্যলেঞ্জ জানিয়ে বলেন, দেশকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে বিজেপি। সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে চাইছে । দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরির করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার লড়াই আন্দোলনে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সংগ্রাম করেছিল, ওরা করেনি। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য মিলনের, সৌভ্রাতৃত্বের । আমরা বিজেপি আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই করব।

Advertisement

তিনি এদিন বলেন, বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য আমার বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করব । বামেদের বিদায়ে রাজ্য জমিয়তের অবদান ছিল । আজ আবার সময় এসেছে বিজেপি-র বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একথা বিজেপিদের মনে রাখা প্রয়োজন, ‘ভারতবাসীরা বিজেপি দয়ায় বসবাস করে না। এখানে কোনো ধর্ম, বর্ণের বিষয় নয়। আমরা কারো দয়ায় বাস করি না। কিসের ভয় দেখান? এটা আমাদের দেশ। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ায় পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বললেন, বিজেপি সরকার যা করছেন তা আমরা মেনে নেব না।তিনি অসমে নাগরিকত্ব ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভূমিকা পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুফতি আবুস সালাম, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্যামল সেন প্রমুখ। মহাজাতি সদনে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অসমের নাগরিক পঞ্জি থেকে ৪০ লক্ষ লোকের নাম বাদ যাওয়ার প্রতিবাদ সভায় জনসমাগম উল্লেখ্য ছিল।

 

 


শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

twenty − 4 =