কলকাতা 

দানবিক সরকার আর নেই দরকার শ্লোগান তুলে কালা দিবস পালন করবে তৃণমূল,বাংলার সাধারণ মানুষকে সামিল হওয়ার আহ্বান পার্থর

শেয়ার করুন
  • 6
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : অসমের শিলচর বিমানবন্দরে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদে কালা দিবসের ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, শনি ও রবিবার রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালন করবেন তৃণমূল কর্মীরা। কালো ব্যাজ পরে ‘দানবিক সরকার আর নেই দরকার’ স্লোগান তুলে এই কালা দিবস পালন করা হবে।পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যস্তর থেকে শুরু করে ব্লক স্তরে এই কালাদিবস পালন করা হবে। অনৈতিকভাবে অসমের বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছিল তৃণমূলের আটজন জনপ্রতিনিধিকে। তাঁদেরকে হেনস্থা করা হয়েছে। কোনও জনপ্রতিনিধিকে এইভাবে আটকে রাখা যায় না। উল্লেখ্য,অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাদ গেছে ৪০ লাখের। এর প্রতিবাদস্বরূপ অসমে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছায় শিলচর বিমানবন্দর। সেখানে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের হেনস্থার অভিযোগ ওঠে অসম পুলিশের বিরুদ্ধে। নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকা মানুষের সঙ্গে দেখা না করেই বাধ্য হয়ে আজ রাজ্যে ফিরে আসে প্রতিনিধি দল। এর প্রতিবাদে আগামী দু’দিন কালাদিবস পালনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল।

আজ সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থবাবু বলেন, “অসমের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সংবিধানে নাগরিকদের যে অধিকার আছে তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবিক দিক থেকে কোনও কিছু দেখা হচ্ছে না। অমর্যাদাকর কাজ করেছে। সেই কাজ যদি কেউ দেখতে যায় তাহলে জনপ্রতিনিধিদের উপর এরা আক্রোশ দেখাচ্ছে। তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা ও সত্য না জানতে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে আমাদের কালাদিবস।”

Advertisement

তিনি আরও বলেন,কেন্দ্রীয় সরকার ও অসম সরকার পরিকল্পিতভাবে কণ্ঠরোধ করেছে জনপ্রতিনিধিদের।পার্থবাবু বলেন, এই অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার জন্য তিনি সাধারণ মানুষকেও এই কর্মসূচি যোগ দিতে আহ্বান জানালেন ।  বিজেপি সরকারের এই অমানবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলের যোগদান জরুরি বলে বার্তা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অসমের ৪০ লক্ষ মানুষকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। রাতারাতি দেশবাসীর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় যেমন আছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা, রয়েছেন শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরাও। রয়েছেন প্রায় ১২ লক্ষ হিন্দু। কেন তাঁদের ভিটেমাটি এভাবে কেড়ে নেওয়া হল, তার ব্যাখ্যা নেই।

পার্থবাবুর আবেদন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পরই গর্জে উঠেছিলেন প্রতিবাদে। অসমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পাঠিয়েছিলেন দলের নেতা-মন্ত্রী, সাংসদ-বিধায়কদের। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে অসম প্রশাসন যে নির্মম ব্যবহার করেছে তার প্রতিবাদে তিনি বাংলার সকল মানুষকে গর্জে ওঠার আহ্বান জানান।

 


শেয়ার করুন
  • 6
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

3 × four =