স্বাধীনতার পর এই প্রথম নীতিশ কুমারের মন্ত্রীসভা মুসলিম শূণ্য
বাংলার জনরব ডেস্ক : কিছু মানুষ দাবি করে থাকে মুসলিম রাজনৈতিক দল আসরে নামলে মুসলিমদের শক্তি বাড়বে । মুসলিম ভোট হারানোর ভয়ে তাদেরকে গুরুত্ব দেবে । কিন্ত বাস্তব অন্য কথা বলছে । ২০১৫-এর বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর কয়েক জন মুসলিম নেতাকে মন্ত্রী করা হয় । তাদের একজন শিক্ষামন্ত্রীও হয়েছিলেন । সেবার মিমের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল । ২০২০-এর বিধানসভা নির্বাচনে মিম বিহারে ৫টি বিধানসভা আসন জিতে গেছে । অথচ মন্ত্রীসভায় একজন মুসলিম প্রতিনিধি নেই ।
মহাজোট সরকারকে ত্যাগ করে নীতিশ কুমার আবার বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়লেও সেবার মুসলিম প্রতিনিধি ছিল । স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর এই প্রথম বিহার মন্ত্রীসভা মুসলিম শুণ্য । কী বার্তা দিল দেশকে বিজেপি ? নীতিশ সরকার ? স্পষ্ট মুসলিমরা ছাড়াও তারা সরকার গড়তে পারবে । কী লাভ হল মিমকে জিতিয়ে ? ক্ষমতার অংশীদারিত্ব তো পেল না মুসলমানরা । উপরন্ত্ তারা সবদিকে থেকেই বঞ্চিত হল ।
যেই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন আবদুল গফুর সেই রাজ্যের মন্ত্রীসভা এখন মুসলিম শূণ্য । নীতিশ চুপ ! ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিও নীরব । বিহারের ১৭ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি নীতিশ কুমারের মন্ত্রীসভায় রইল না । এটাই স্বাধীনতা ৭৪ তম বছরে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ট্র্যাজেডি ।