দেশ 

বিহারের সাফল্যে উজ্জীবিত বিজেপি সভাপতি দেশজুড়ে ১০০ দিনের যাত্রা শুরু করতে চলেছেন , লক্ষ্য ২০২৪

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিততে না পারলে কান ঘেঁষা জয় আসার পরেই সাজো সাজো রব দেখা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে । আসলে গেরুয়া শিবিরের আশংকা ছিল এবার বিহার তারা ধরে রাখতে হযতো পারবে না । তাই পেটোয়া মিডিয়াদের দিয়ে জনমত সমীক্ষার নাম করে নিজেদের আত্মপ্রচার করেছিল । কিন্ত ভোটের সময় যেভাবে বিরোধী শিবিরে মানুষের জমায়েত হয় তা দেখে ভিমরি খেয়েছে গেরুয়া শিবির । তাই জয় অনিশ্চিত হয়ে যায় ।  কিন্ত শেষ পর্যন্ত কোনো প্রকারে দল হিসাবে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে । শতাংশের বিচারে বিজেপি ভোট পেয়েছে ১৯ শতাংশের বেশি , আর আরজেডি ভোট পেয়েছে ২৩ শতাংশ ।

এই ফল যাতে সাধারন মানুষ বুঝে উঠতে না পারে তার জন্য এবার বিজেপি সভাপতি দেশ জুড়ে ১০০ দিনের যাত্রা শুরু করবেন । খানিকটা লালকৃষ্ণ আদবাণীর রথযাত্রার মতই দেশজুড়ে জয়যাত্রা শুরু করবে বিজেপি । আর এতে চাপা পড়ে যাবে বিহারের আসল চিত্র । মূল লক্ষ হলো ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন । সেই নির্বাচনে যাতে বিজেপি আরও ভাল ফল করে তার জন্য বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা দেশজুড়ে যাত্রা শুরু করবে । যদিও তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

Advertisement

বিজেপি সূত্রে খবর, ‘রাষ্ট্রীয় বিস্তৃত প্রবাস’ নামে ১০০ দিনের ওই যাত্রায় বিজেপিশাসিত রাজ্যের পাশাপাশি দখলে নেই, এমন রাজ্যেও যাবেন বিজেপি সভাপতি। উত্তরপ্রদেশ ছাড়া ছোটবড় মিলিয়ে সব রাজ্যেই দুই থেকে ৩ দিনও থাকবেন তিনি।বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ ফের ক্ষমতা দখলের পর নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা মিলেছে নড্ডার। তবে সেই সাফল্যে সন্তুষ্ট না থেকে আরও বড় লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চান বিজেপি সভাপতি।

২০১৪-র লক্ষ্যপূরণে কী কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন নড্ডা? বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ১০০ দিনের সফরে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন নড্ডা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সম্ভাব্য জোটসঙ্গী খুঁজে বার করাও তাঁর কর্মসূচিতে থাকবে। যে সব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে শাসকের ভাবমূর্তি আরও উন্নতির চেষ্টা করা হবে।

গোটা সফরে যে সব রাজ্যে পা রাখবেন নড্ডা, সেগুলিকে চারটে ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কর্নাটক, নাগাল্যান্ড, বিহার, ত্রিপুরা-সহ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি ‘এ’ বিভাগে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞল দিল্লি এবং রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং ওড়িশার মতো রাজ্যে যেখানে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারেনি, সেগুলিকে ‘বি’-শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। লক্ষদ্বীপ, মেঘালয় এবং মিজোরামের মতো ছোট রাজ্যগুলি ‘সি’-ক্যাটেগরিতে ধরা হয়েছে। কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে যেখানে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন— তেমন রাজ্যগুলিকে ‘ডি’-ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ছা়ড়া ‘সি’ভুক্ত রাজ্যগুলিতে ২দিন এবং ‘এ’ ও ‘বি’-শ্রেণিভুক্ত রাজ্যে ৩ দিন করে থাকবেন নড্ডা। তবে উত্তরপ্রদেশে ৮ দিন থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

seventeen − nine =