কলকাতা 

২০২১-এ বাংলা জেতাতে শাহ ঘনিষ্ঠ বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে নয়া দায়িত্ব

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : পশ্চিমবাংলা দখলের নীল-নকশা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত মালব্যকে । বিজেপির নেতা অমিত শাহের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হলেন অমিত মালব্য ।

বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিতকে বঙ্গ বিজেপি-র সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে দলীয় স্তরে ওই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। ওই নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। অমিতের নিয়োগের অর্থ, বাংলা দখলের লড়াইয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সামগ্রিক ভাবে সংবাদমাধ্যমে আরও আক্রমণাত্মক এবং আগ্রাসী ভঙ্গিতে নামবে বিজেপি। কারণ, মালব্য-অমিতের দায়িত্ব সেটাই। বস্তুত,  সারা ভারতেই তাঁর দায়িত্ব বিজেপি-র আইটি সেলকে চূড়ান্ত ‘সক্রিয়’ করে তোলা। বঙ্গ বিজেপি-র এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘‘অমিতের অধীনে গোটা দেশের সমস্ত রাজ্যেই আমাদের আইটি সেল সমীহ-জাগানো শক্তি হয়ে উঠেছে।’’

Advertisement

দায়িত্ব পাওয়ার পর অমিত টুইট করেছেন, ‘বিজেপি-র জন্য বাংলা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত…। নিজের সেরাটাই দেব’।

এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘‘অমিত মালব্যকে বাংলার সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে এনে দলের অন্দরেও এই বার্তা দেওয়া হল যে, নেপথ্যনায়কদের মূলস্রোতের প্রকাশ্য রাজনীতিতে নিয়ে আসার বিষয়ে কোনও বাধা নেই। যোগ্যতা থাকলে কেউ মূলধারার রাজনীতিতে আসতে পারবেন।’’ তবে পাশাপাশিই ওই নেতা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই বার্তাটি দলের অন্দরের জন্য। আসল বার্তা হল, বিজেপি নীলবাড়ির লড়াইয়ে যে অপরিসীম গুরুত্ব দিচ্ছে, তা বোঝানো। মাঠ-ময়দানের দৈনিক আন্দোলন-নির্ভর রাজনীতির পাশাপাশিই সোশ্যাল মিডিয়াতেও যে বিজেপি প্রতিপক্ষকে ছেড়ে কথা বলবে না, এই নিয়োগ তারই বার্তা বহন করছে। ওই নেতার কথায়, ‘‘নবান্ন দখলে আমার যে পুরোপুরি কমিটেড এবং সর্বস্তরেই তৈরি হয়ে নামতে চাই, এই নিয়োগে দলের ভিতরে-বাইরে সেই বার্তাও পাঠানো হল।’’

বাংলায় অমিতকে নিয়োগের পাশাপাশিই ত্রিপুরাতেও একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছে বিজেপি। রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধরকে ত্রিপুরা থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বনিবনা হচ্ছিল না বলেই দলীয় সূত্রের খবর। জল্পনা ছিল, বাংলা ভাষায় দড় হওয়ায় ভোটের আগে সুনীলকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হতে পারে। তবে সুনীলকে যে দক্ষিণের কোনও রাজ্যে সরানো হতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল মাসদুয়েক আগে। যখন তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে তিনি তেলুগু ভাষা শিখছেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

three × 3 =