বিহারে তীব্র সাম্প্রদায়িক তাস খেলেও মোদি কার্যত হেরেছেন / ইমানুল হক
ইমামুল হক : তীব্র সাম্প্রদায়িক তাস খেলেও মোদি কার্যত হেরেছেন। নির্বাচন কমিশন এবং গণনা সংক্রান্ত যে-সব মারাত্মক অভিযোগ মহাজোট তুলেছে, বিশেষ করে সাত কেন্দ্রে তা সত্য হলে বিজেপি জোট ১১৮ টি আসন পেতো।
বিজেপি জোটের ভোট কমেছে 16% এর বেশি 2019 এর তুলনায়।
লোকসভায় ছিল 52% । এবার 36%।
বিজেপি 19.46% + নীতীশকুমার15.39%। আর দুটি দল আছে। তার এক শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন।
তেজস্বী যাদব তথা লালুপ্রসাদ যাদবের দল 2019 এর লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে ভোট পেয়েছিল 23.06% এবার একাই রাষ্ট্রীয় জনতা দল পেয়েছে 23.11%.। কংগ্রেস 9.48%। বামপন্থীরা 3.5 %এর বেশি। সবমিলিয়ে 36% এর বেশি।
মিম জোট গড়েছিল কুশওয়াহাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে। রাষ্ট্রীয় লোকজনশক্তি এবং মায়াবতীর বিএসপির সঙ্গে জোট গড়ে। ভোট পেয়েছে 4.92%।
সুতরাং মিমের প্রভাব যারা কেবল 18 কেন্দ্রেই খুঁজছেন ভুল হচ্ছে।
কংগ্রেসকে বাদ দিলে তেজস্বী লড়াই করার রসদ পেতেন না। উচ্চবর্ণের ভোট পেতো না মহাজোট।
বামপন্থীরা একা লড়লে 16 টি আসন পেতেন না।
কংগ্রেস নুনের মতো।
কংগ্রেস দায়– একথা আর এস এসের প্রচার। তাতে পা দেবেন না।
নির্বাচনে লড়তে গেলে অর্থ লাগে।
কংগ্রেস না থাকলে তা আসবে না।
বিজেপি এটাই চায়।
বিজেপি একটা কর্পোরেট মদতপুষ্ট অর্থনৈতিক জোট।
বিজেপি একটা আর এস এস পরিবারের সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র দল।
তারা আর বাকিরা সমান?
সেনা মুদ্রা ব্যাঙ্ক বিচারব্যবস্থা প্রচারমাধ্যম নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ফ্যাসিস্ট হওয়া যায়? এগুলো কাদের হাতে? তারা আর বাকিরা সমান?