বিভাজনের রাজনীতি সরিয়ে ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা গড়ার শপথ ‘‘লাল বা নীল রাজ্য নয়, আমার নজরে রয়েছে শুধুমাত্র আমেরিকা’’ নির্বাচিত হওয়ার পর দেশবাসীকে বার্তা বাইডেনের
বাংলার জনরব ডেস্ক : বিভাজনের রাজনীতি সরিয়ে ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা গড়ার শপথ নিলেন নয়া নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । তিনি করোনা মোকাবিলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন , একই সঙ্গে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি চাঙ্গা করতে তিনি উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন । ভারতের অর্থনীতিবিদ তথা প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ড. মনেমোহন সিংহ-এর সঙ্গে তিনি পরামর্শ করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন । আজ নতুন করে একথা না বললেও গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অটুট রাখার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি । ভারতীয় সময় রবিবার সকাল ৬টায় জো বাইডেন জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দেন । এর আগে বক্তব্য রাখেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ।
জো বাইডেন ভাষণের শুরুতেই বলেন , ‘‘লাল বা নীল রাজ্য নয়, আমার নজরে রয়েছে শুধুমাত্র আমেরিকা।’’ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নীল রঙের প্রাধান্য বা রিপাবলিকানদের লাল রং— কোনওটাকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ বাইডেন। বরং আমেরিকাকে এক রাষ্ট্র হিসাবে দেখার কথা বলেছেন তিনি।
দেশে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি অতিমারির আবহে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে টেনে তোলাই যে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর লক্ষ্য, সে কথাও শোনা গিয়েছে বাইডেনের মুখে। সেই সঙ্গে বর্ণবৈষম্য, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ফলে বিভাজনের সরিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজের অঙ্গীকারও করেছেন তিনি। সমর্থকদের উল্লাসের মাঝে সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘যুদ্ধবদ্ধ হওয়ার এটাই সময়। এবং আমেরিকার ক্ষত সারানোরও পালা এসেছে। বিদ্বেষকে পিছনে ফেলে ফের এক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে।’’
ট্রাম্পকে হারানোর পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে নানা নজির গড়েছেন ৭৭ বছরের জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র। আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বয়সি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন তিনি। সেই সঙ্গে ১৯৯২ সালের পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি এক বার পদে থাকা কোনও প্রেসিডেন্টকে হারালেন। শেষ বার এমনটা করেছিলেন বিল ক্লিনটন। ’৯২-তে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশকে পরাস্ত করেছিলেন তিনি। বাইডেনের পাশাপাশি কমলার জয়ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রথম অ্যাফ্রো-আমেরিকান-এশীয় হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।