একাদশ-দ্বাদশের চূড়ান্ত তালিকা এসএসসিকে ১২ জুলাই সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে জমা দিত বলল হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি : স্কুল সার্ভিস কমিশন আইনের ১২ নং ধারা অমান্য করেই এসএসসি একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং শুরু করতে চলেছে এই অভিযোগে চাকুরি প্রার্থীদের একাংশ মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাদের দাবি স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনের ১২ নং ধারায় পরিস্কার বলা হয়েছে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না করে কোনরূপ নিয়োগ করা যাবে না। সেই তালিকা পিডিএফ ফরম্যাটে প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে মুনসী ওয়ারিস আসগর,তনুশ্রী দাস, বিশ্বজিৎ পাল সহ কুড়িজন এমপ্যানেল্ড কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেছেন এসএসসিতে নিয়োগ সংক্রান্ত স্পষ্ট আইন থাকা সত্ত্বে তা সরাসরি অমান্য করে কাউন্সিলিং করতে চলেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে দূর্নীতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে । তাছাড়া চূড়ান্ত প্যানেল না থাকলে কারা কারা চাকরি পেলেন বা চাকরি প্রার্থীরাও তাদের অবস্থান জানতে পারবে না । সুতরাং গত ৬ জুলাই স্কুল সার্ভিস কমিশন কাউন্সিলিং-র যে বিঞ্জপ্তি জারি করেছে তাকে বাতিল করার জন্য উপরোক্ত ব্যক্তিরা মহামান্য হাইকোর্টে আবেদন করে। সেই আবেদনের আজ শুনানির সময় মামলাকারীর আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরি আদালতকে বলেন, “এসএসসি গত ৬ জুলাই যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, সেটা অবৈধ। কারণ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না করে কাউন্সেলিংয়ে জন্য চাকরি প্রার্থীদের ডাকতে পারে না। নিয়োগ সংক্রান্ত আইনে বলা রয়েছে, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার পরই কাউন্সেলিংয়ে প্রার্থীদের ডাকা যাবে। কিন্তু, এসএসসি তা না করেই কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যা অবৈধ।”
এরপর বিচারপতি শেখর ববি শরাফ এসএসসি-র আইনজীবীর কাছে জানতে চান এসএসসি এধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কিনা। উত্তরে আইনজীবী জানান,কমিশন চাকরি প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে ডাকার সিদ্বান্ত নিয়েছে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যা আইনের পরিপন্থী বা বিরোধী, এসএসসি কীভাবে সেই নিয়ম ভাঙল। আমি জানতে চাই কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগে কোনওরকম তালিকা প্রকাশ করেছে কিনা ?” বিচারপতি সেই তথ্য আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলেন।
