চোপড়ায় কিশোরী ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত যুবকের লাশ উদ্ধার , তদন্তে পুলিশ
বাংলার জনরব ডেস্ক : উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মাধ্যমিক পাশ এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করা হয় । তা নিয়ে সমগ্র জেলা জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে বিজেপি । এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কিশোরী খূনের সঙ্গে যুক্ত বলে যে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল কিশোরীর পরিবার । সেই যুবকের মৃতদেহ আজ উদ্ধার হয় ।
সোমবার সকালে একটি পুকুরে ওই যুবকের মৃতদেহ ভেসে ছিল। জলের উপর শুধু মুখ ছিল। দেহের বাকি অংশ জলের তলায় ছিল। মুখের বেশিরভাগটাই লাল হয়ে গিয়েছিল। নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পুলিশের তদন্তের আগেই অবশ্য নয়া তত্ত্ব দিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘ওই কিশোরী এবং যুবক একে অপরকে চিনত এবং একই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যেত। পরিবার সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার আশঙ্কায় তারা সম্ভবত আত্মহত্যা করেছে।’
যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতির তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন মৃত কিশোরীর বাবা। পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, সেই অভিযোগে অনড় থেকে তিনি জানান, কিশোরীকে নিয়মিত হেনস্থা করত ওই যুবক। সেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করেছে।
বিজেপির অভিযোগ, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ থেকে নজর ঘোরাতেই তৃণমূলের তরফে এই ‘কাজ’ করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘সম্পর্কের পরিণতি হিসেবে দুটি মৃত্যুর ঘটনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল এবং পুলিশ।’ সরাসরি না বললেও একইসুরে অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতে ওই যুবককে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘দুটি ঘটনারই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’