মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে আক্রান্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী
বাংলার জনরব ডেস্ক : মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে জনতার খন্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় ।এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে গেলে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের উপর চড়াও হলেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, সেখানকার তাতপট্টি বাখাল এলাকায় COVID-19 এর স্ক্রিনিংয়ের জন্যে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল পৌঁছলে তাঁদের উপর হামলা করেন স্থানীয় মানুষ জন।
প্রাথমিকভাবে ঘটনা সম্পর্কে যা জানতে পারা গেছে তা হল, এমনিতেই লকডাউনের কারণে এলাকার মানুষজন ক’দিন ধরেই ফুঁসছিলেন। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় সংক্রমণ পরীক্ষা করতে যাওয়ায় যত রাগ গিয়ে পড়ে তাঁদের উপর। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের লক্ষ্য করে রীতিমতো পাথর ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা, অভিযোগ, মারধরও করা হয়েছে ওই কর্মীদের। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনাই ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। পাথরের ঘায়ে আহত হয়েছেন দুই চিকিৎসকও। এর আগে সোমবার ইন্দোরেরই রানিপুরা এলাকাতেও কোভিড সংক্রমণের তদন্তে নিযুক্ত দলটিকে আক্রমণ করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁদের লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় ও থুথু ছেটায় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে জেলা কালেক্টর মণীশ সিং কঠোর সুরে বলেছেন, “যদি কেউ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তবে তাঁরা রেহাই পাবেন না। আমি ভালভাবে আগে ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ নিতে চাই। আমাদের টিমের চিকিৎসক, পুলিশ কর্মীরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করছেন। প্রচুর লোক লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। এই হামলার ঘটনা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে এবং তাঁদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হবে”।
Indore has 76% of MP’s #COVID patients, but after Ranipura again locals attacked health officials @ChouhanShivraj@DGP_MP@ndtvindia#COVID19Pandemic#CoronaKoDhona#COVIDIOTSpic.twitter.com/GPDMqEfBaM
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) April 2, 2020
ইতিমধ্যেই ওই হামলার ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাঁদের মধ্যে একজনকে পাকড়াও করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে জেলে পোরা হবে। পাশাপাশি ইন্দোরের ডিআইজি জানিয়েছেন যে, এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
ইন্দোরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ এ, বুধবার ১২ জন নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর। বুধবার গভীর রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তানজিম নগরে ৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর একদিন আগেই একই পরিবারের ৯ জন সদস্য করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। মধ্যপ্রদেশে যতজন মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ইন্দোরের বাসিন্দা বলে খবর। সৌজন্যে এনডিটিভি।