দেশ 

“লকডাউন পর্ব মিটলেও নিয়ন্ত্রিত করতে হবে মানুষের গতিবিধি” মুখ্যমন্ত্রীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতি  পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের  মাধ্যমে দেশের অঙ্গ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সপার্ষদ এই বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী । মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে। এই কনফারেন্স বৈঠকে সংক্রমিতের সংখ্যা পর্যালোচনায় কৌশল রচনা করা হয়েছে। সংক্রমিতের সংস্পর্শে কে বা কারা এসেছে, সেটা কীভাবে সঠিক উপায়ে চিহ্নিত করা সম্ভব। সেই বিষয়ে বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “লকডাউন পর্ব মিটলেও নিয়ন্ত্রিত করতে হবে মানুষের গতিবিধি। আসুন, এ বিষয়ে আমরা যৌথ কৌশল রচনা করি। লকডাউন পরবর্তী অবস্থায় সীমিত গণ-জমায়েত ও সামাজিক দুরত্ব যাতে বজায় থাকে সেটা নিশ্চিত করি।”

দেশের সব রাজ্যের মধ্যে তামিলনাড়ুতে এই সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সেখানে ১৬০ জনের শারীরিক পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের শরীরে ওই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।

Advertisement

krmgf2jo

ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, হঠাৎ করে দেশে বেড়ে গিয়েছে সংক্রমণের মাত্রা। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীদের আরও সজাগ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি নিজামুদ্দিন-কাণ্ডের জেরে কতটা বাড়তে পারে সংক্রমণ? সেই সংক্রমণ রোধের কৌশল কী হতে পারে? সে নিয়ে হয়েছে আলোচনা। বৈঠক শেষে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু টুইট করে বলেছেন, লকডাউন পর্ব শেষ হলেও মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর এটা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বৈঠক। এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ লকডাউন জারি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ২১ দিনের এই লকডাউনে আগামী দিনে আরও বাড়বে কিনা, তাই নিয়ে সম্প্রতি উঠেছিল প্রশ্ন। মন্ত্রিপরিষদের সচিব রাজীব গৌবা ইতিমধ্যেই লকডাউন আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে, ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের পরের দিন থেকে স্বাভাবিক হতে পারে রেল এবং বিমান পরিষেবা—-এই ইঙ্গিতও মিলেছে থেকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে। ওই তারিখ থেকে যাত্রী সাধারণ প্লেন বা ট্রেন যাত্রার পরিকল্পনা করে টিকিট বুক করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২২ মার্চ করোনার ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কেন্দ্র রেল ও বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। বাতিল হয় সমস্ত বিমান পরিষেবা। সৌজন্যে এনটিভি।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

four + 6 =