প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মানছেন না ! মারণভাইরাস করোনার করালগ্রাস থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে লকডাউন ঘোষণা করেছেন মোদী ; তা অমান্য করেই সভা করলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী
বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে উপেক্ষা করলেন রাজ্যের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সংকটকালে রাজনীতি করবেন না । অথচ নিয়ম মেনে রাজনীতি করে চলেছেন বিজেপির নেতারা । দেশের মানুষ লকডাউন ভাঙলে জেল ও জরিমানা করার নিদান দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা । অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন কর্মসূচিকে অমান্য করে আইন ভেঙে রামের মূর্তির স্থানান্তরের কাজ করতে নেমে পড়েছেন ।
বুধবার ভোরবেলা রাম জন্মভূমিতে থাকা একটি টিনের শেডের তলা থেকে রামের প্রতিমা স্থানান্তরিত করার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আপাতত ওই মূর্তি সরিয়ে ফাইবার দিয়ে তৈরি অস্থায়ী আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। ওই স্থানে মন্দির তৈরি না হওয়া পর্যন্ত একটি অস্থায়ী আশ্রয়ে রাখা থাকবে মূর্তিটি। এই অনুষ্ঠানটিকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রথম পর্বের সূচনা বলে অভিহিত করে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
এই মন্দির শহরে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই মন্দির নির্মাণের দিনক্ষণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপাতত তা আদৌ হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
সূত্রের খবর, শোনা যাচ্ছিল নভেল করোনা ভাইরাসজনিত COVID-19 মহামারীর কারণে অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে যেতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন অনুষ্ঠান হোক। আর তাই অন্তত ২০ জন মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া নানা ছবি ও ভিডিওতে সাফ দেখা গিয়েছে শহরের বহু বিশিষ্ট সাধুদের সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থনা করছেন। অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রধানসহ উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউন চলাকালীন অনুসরণ করা নির্দেশাবলীর মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছিল যে “জনসাধারণের জন্য সমস্ত উপাসনালয় বন্ধ থাকবে। ব্যতিক্রম ছাড়া কোনও ধর্মীয় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে না।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ সকালে টুইট করেছেন :
চিনের উহানে সামুদ্রিক খাবারের বাজারে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পরে বেশ কয়েকটি দেশে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে অত্যন্ত সংক্রামক করোনভাইরাস। চিন, ইরান, ইটালির পরে যাতে ভারতেও এই ভয়ানক রোগে লাখো মানুষের মৃত্যু না হয় তাই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা হ্রাস করার জন্য জনগণকে কোনও সমাবেশ এড়াতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অযোধ্যা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ২ এপ্রিল পর্যন্ত শহরে তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জরুরি পরিবহন পরিষেবা ব্যতীত সমস্ত বিমান ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। লকডাউন সারা দেশেই।
লকডাউনের নির্দেশ মত সমগ্র দেশের মানুষ ঘরবন্দি থাকবেন । ঘরের বাইরে বের হলে বাংলাসহ সমগ্র দেশে পুলিশ সাধারণ মানুষের দিকে তেড়ে যাচ্ছে তাহলে কেন যোগী আদিত্যনাথ কমপক্ষে ২০ জনকে নিয়ে সভা করলেন । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন, দেশ বাঁচাতে হবে । তাই এই সময় রাজনীতি নয় । তাঁর দলের নেতা ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আজ যা করলেন সেটা আইনের চোখে কি সঠিক ? কী বলবেন আমাদের দেশের মহামান্য প্রধানমন্ত্রী । নাকি বিজেপির নেতা বলে সব মাফ হয়ে যাবে । প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকলে এখনই যোগী আদিত্যনাথকে তিরস্কার করুক ! কিন্ত তিনি করবেন না । তিনিও চান এই ধরনের রাজনীতি চলুক । বিজেপির কাছে করোনা ভাইরাস কোনো মারণ ভাইরাস নয় , এটা এখন রাজনীতির প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে ।