‘‘আমরা মানুষের জন্য কাজ করছিলাম, আর ওরা ক্ষমতা দখলের ছক কষছিল। শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে হত্যা করল ওরা” : বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে পদত্যাগ কমলনাথের
বাংলার জনরব ডেস্ক : দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ । হোলির দিন ২২ বিধায়ককে বেঙ্গালুরুতে বন্দী করার পর কমলনাথের কংগ্রেস সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে । তারপর থেকে বারবার কমল নাথ দাডিব করছিলেন বেঙ্গালুরুতে বন্দী ২২ বিধায়ককে ভোপালে এনে দিতে পারলেই তার সরকার আস্থাভোটের মুখোমুখি হবেন।
বেঙ্গালুরুর রামাদা হোটেল ২২ বিধায়ককে আটক রাখা হয় বলে দাবি করে কংগ্রেস । এদিকে বিজেপি ওই সব বিধায়ককে ওখানে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করান । তাঁরা বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন কংগ্রেসে তারা ফিরবেন না । অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে ওই হোটেল যান । কিন্ত তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি পুলিশ । বরং দিগ্বিজয় সিংহ পুলিশ আটক করে ।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে বিধানসভায় আস্থা ভোট নিতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাই আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন কমল নাথ। শুক্রবারই রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনে কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। ইস্তাফাপত্রে তিনি লেখেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশে যা হয়েছে তা গণতন্ত্রকে দুর্বল করার নতুন অধ্যায়।”
বৃহস্পতিবার ১৬ বিদ্রোহী বিধায়কের পদত্যাগপ্তর জমা নেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার। তারপর থেকেই কমল নাথের ইস্তফার জল্পনা বাড়ছিল। এদিন দিগ্বিজয় সিংয়ের মন্তব্যের পর ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। সেই জল্পনা সত্যি করে শেষমেশ পদত্যাগ করলেন কমল নাথ। ১০৭টি বিধায়ক নিয়ে বিজেপির সরকার গড়ার পথ আরও সোজা হয়ে গেল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে এক হাত নেন কমল নাথ। তাঁর কথায়, “দেশের মানুষ দেখেছে, কীভাবে বিধায়কদের ‘বন্দী’ করে রাখা হয়েছিল। একদিন সত্যিটা প্রকাশিত হবেই। দেশের মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না।” ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। তখন থেকেই প্রতি ১৫ দিন অন্তর রাজ্যবাসীর জন্য নতুন নতুন প্রকল্প এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এদিন ‘গণতন্ত্রের হত্যা করল বিজেপি’ বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা।