দেশ 

করোনা রুখতে ‘ জনতা কারফিউ’-এর ডাক প্রধানমন্ত্রীর

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বে মানব সভ্যতার সামনে সংকট নিয়ে হাজির হয়েছে । আসুন আমরা সবাই নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচাই, দেশকে বাঁচাই আজ রাত ৮ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একথা বলেন । তিনি বলেন , করোনা রুখতে প্রয়োজন জনতা কারফিউ । এবার জনতা জনতা কারফিউ-র ডাক দিলেন মোদী । তিনি বলেন আগামী রবিবার ২২ মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘরে থাকুন । বাড়ির বাইরে বের হবেন না ।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশ জুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন পঞ্জাবে। এ ছাড়া দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ জন। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনই পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর।

Advertisement

তিনি বলেন ,এই ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে মানবজাতি জয়ী হোক । দেশে কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার, জনপ্রতিনিধি হোক বা বিদ্বজ্জন, সবাই এই মহামারি থেকে বাঁচতে যোগদান করছেন  এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে এক হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে ।এই সঙ্কট এত বড় যে এক দেশ অন্য দেশকে সাহায্য করতে পারছেন না  আশঙ্কা ও ভয়ের বাতাবরণও তৈরি হয় নিজের যে টুকু করা দরকার, সেটা করেছেন । গত দু’মাসে যে সঙ্কট উপস্থিত হয়েছে, তা নিজের সমস্যা মনে করে সবাই সমাধান করার চেষ্টা করেছেন।মজুতদারি করবেন না, আতঙ্কে অতিরিক্ত জিনিসপত্র কিনবেন না

দেশে দুধ, খাবার-সহ অত্যাবশ্যক জিনিসপত্রের ঘাটতি যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । কেউ অফিসে আসতে না পারলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবেন না, মানবিক ব্যবহার করুন

আর্থিক ব্যবস্থার মোকাবিলা করতে কোভিড-১৯ ইকনমিক টাস্ক ফোর্স গঠন করা  হচ্ছে, নেতৃত্বে থাকছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই টাস্ক ফোর্স আর্থিক সমগ্র বিষয়ে নজর রাখবে।  এই মহামারি অর্থ ব্যবস্থার উপরেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে । পারিবারিক চিকিৎসক বা পরিচিত চিকিৎসকের মাধ্যমে ফোনে পরামর্শ নিন।  দেশবাসীকে আমার অনুরোধ, রুটিন চেকআপ করার জন্য হাসপাতাল এড়িয়ে চলুন।

সরকারি কর্মী হোক, বিমানবন্দরের কর্মী হোক, সংবাদ মাধ্যমের কর্মী হোক, সবাই নিজেদের কথা না ভেবে অন্যের সেবায় নিয়োজিত । এরা সবাই বিপদ মাথায় নিয়ে কাজ করছেন । আমরা পুরো শ্রদ্ধার সঙ্গে এঁদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। রবিবার বিকেল পাঁচটায় পাঁচ মিনিট ঘণ্টা বাজিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি । সাইরেন বাজিয়ে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হোক । যাঁরা সেবা করছেন, তালি, থালা, ঘণ্টা বাজিয়ে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব।এই দিন আমরা সবাই একে অন্যকে ধন্যবাদ দিই।

আগামী কয়েক সপ্তাহ অত্যন্ত জরুরি কাজ থাকলে, তবেই ঘর থেকে বেরোন । আমাদের সবার উচিত সতর্ক থাকা, আপনারা এ দিক সে দিক ঘুরে বেড়াবেন, আর করোনা থেকে বাঁচবেন, এটা সম্ভব নয় ।আজ আমাদের প্রতিজ্ঞা  করতে হবে, আমরা নিজেরা সংক্রামিত হওয়া থেকে বাঁচব, অন্যদেরও বাঁচাব। এর জন্য দেশবাসীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । বহু মানুষকে আইসোলেশনে রেখে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সবার দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক । করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে এমন কোনও নিশ্চিত ওষুধ তৈরি হয়নি, কোনও টিকা তৈরি হয়নি ।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন , আপনাদের আগামী কয়েক সপ্তাহ আমি চাই ।আজ ১৩০ কোটি দেশবাসীর কাছে কিছু চাইতে এসেছি । এটা আপনাদের আশীর্বাদের ক্ষমতা, আমরা সবাই মিলে নির্ধারিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি ।আপনাদের কাছে যখনই কিছু চেয়েছি, আপনারা নিরাশ করেননি । ফলে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।  করোনা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে, এমন ভাবনা ঠিক নয়।দু’টি বিশ্বযুদ্ধেও এত দেশ জড়িয়ে পড়েনি।  বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি। গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ।

 

 

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

three + 2 =