সংখ্যা নেই , তবু কমলনাথের আত্মবিশ্বাস সরকার টিকবে , সোমবার আস্থা ভোট ; সরকার বাঁচাতে কংগ্রেস কোনপথে হাঁটবে জানতে হলে ক্লিক করুন
বাংলার জনরব ডেস্ক : করোনা ভাইরাস নিয়ে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে ভারত আতংকের মধ্যে আছে , দেশের অধিকাংশ রাজ্যে এই ভাইরাস থেকে সর্তক থাকার উদ্দেশে সরকারি কাজ কর্ম যখন লাঠে উঠেছে ঠিক তখনই মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি গরম হচ্ছে । আগামী কাল সোমবার আস্থা ভোট নিতে রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন কমলনাথ সরকারকে । বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাজ্যপালের ভাষণের পরেই আস্থা ভোট নিতে হবে কমলনাথকে । রাজ্যপাল লালজী ট্যান্ডন সেই নির্দেশ দিয়েছেন । কিন্ত সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে কমলনাথ সরকারের আস্থা ভোটে জেতা প্রায় অসম্ভব । তা সত্ত্বে আজ বিকেলে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কমলনাথ দাবি করেছেন তার সরকার জিতবে । সরকার পড়বে না । কোন ভিত্তি তিনি এই দাবি করছেন তা বলতে চাননি তিনি । তবে একথা ঠিক কমলনাথের আত্মবিশ্বাসের কোথাও ঘাটতি নেই ।
এদিকে, আজই জয়পুর থেকে কংগ্রেসের অধিকাংশ বিধায়ক ভোপালে ফিরে এসেছেন । তাদেরকে জয়পুরের এক হোটেলে রাখা হয়েছে । জয়পুরের রিসর্ট থেকে ভোপালের হোটেলে চেক-ইন পর্যন্ত পুরো রাস্তা বিধায়কদের দলকে এসকর্ট করেছেন মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা হরিশ রাওয়াত। দল-ভাঙানোর আশঙ্কা রুখতে শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা রাতারাতি দলীয় বিধায়কদের নিয়ে পৌঁছন কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের একটি রিসর্টে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট থেকে শুরু করে মুকুল ওয়াসনিকের মতো নেতাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয় কংগ্রেস বিধায়কদের। অন্যদিকে কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিজেপি বেঙ্গালুরু নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ নর্মদাপ্রসাদ প্রজাপতি বিদ্রোহী ৬ মন্ত্রীর ইস্তফা গ্রহণ করলে রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন সোমবার আস্থা ভোটের নির্দেশ দেন।
কিন্তু রবিবারও মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা আস্থাভোটে জয়লাভ করবেন। হরিশ রাওয়াত এ দিন ভোপাল বিমানবন্দরে বলেন, “আস্থা ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। এমনকি বিদ্রোহী বিধায়কদের অনেকের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।” রাজ্যের মন্ত্রী কান্তিলাল ভুরিয়ার পাল্টা দাবি, “বিজেপির কমপক্ষে ৬ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ করব।”
২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট বিধায়ক সংখ্যা ২২৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১১৫ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার কোনও দলের। চার নির্দল বিধায়ক, দুই বহুজন সমাজ পার্টি-র বিধায়ক এবং এক জন সমাজবাদী পার্টিরবিধায়কের সমর্থনে এত দিন সেখানে ১২১টি আসন ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২২ জন বিদ্রোহী বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর তাদের আসনসংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৯৯-তে। নির্দল, বসপা এবং সপার তরফে সমর্থন তুলে নিলে সে ক্ষেত্রে তাদের পক্ষে থাকা বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯১-তে। সে ক্ষেত্রে বিধানসভার ম্যাজিক সংখ্যা এসে ঠেকবে ১০৪-এ। বিজেপির কাছে যেহেতু ১০৭ জন বিধায়ক রয়েছে, তাই আস্থাভোট হলে তাদের জয়লাভে কোনও বাধা থাকবে না।