বাংলার জনরব ডেস্ক : নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সর্তক থাকার পাশাপাশি কৌশল কবের করার জন্য সার্ক ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় এই আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । সার্কের নেতাদের মোদী বলেন, ‘‘ভয় পাবেন না, রোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন।’’ সেই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র ‘অতিমারী’ তকমা দেওয়া ওই রোগ ঠেকাতে ভারত কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তাও-ও তুলে ধরেন তিনি।
এ দিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস যাতে থরহরিকম্প তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সাবধানী ছিলাম। আমরা ওই ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে ধাপে ধাপে পদক্ষেপ করে চলেছি। ধাপে ধাপে নানা পদক্ষেপই এর আতঙ্ক মুছে দিতে আমাদের সাহায্য করেছে।’’ এর পরেই প্রধানমন্ত্রী যোগ করেছেন, গোটা দেশ জুড়েই করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার শুরু হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কাজও চলছে।
Advertisement
মোদী আরও বলেন, ‘‘এই অতিমারী রুখতে প্রতিটি ক্ষেত্রে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্ক্রিনিং, সংক্রমণ খুঁজে বের করা, কোয়ারান্টাইন এবং আইসোলেশন পরিষেবা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টিও।’’
করোনা প্রতিরোধে সার্কের দেশগুলিকে একটি জরুরি তহবিল গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এ জন্য ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৭৩ কোটি টাকার বেশি অনুদান দিতে চান তিনি। করোনা-পরিস্থিতি সামলাতে ওই মঞ্চের সদস্য দেশগুলির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মোদী। আগামী পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি র্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরি করছি। তাতে চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। থাকবে পরীক্ষার কিট, ওষুধপত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামও। আপনাদের প্রয়োজন পড়লে তাঁদের পাঠানো হবে।’’ এ নিয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। সকলে এক জোট হয়ে ভবিষ্যতের লক্ষে গবেষণা চালানোর প্রস্তাবও দেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এটাই প্রথম বা এটাই শেষ মহামারী নয়।’’
এ দিনের ভিডিয়ো কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও। সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে করোনার চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য একটি কমন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন আফগান প্রেসিডেন্ট। এ ব্যাপারে দূরশিক্ষার জন্য ভারতের সাহায্যও চান তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি। ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংও।