জেলা 

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহের উদ্যোগে আদিবাসীদের দেবস্থান পাট্টার পর সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য কমিউনিটি হল গঠনের সিদ্ধান্ত

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি :  জঙ্গলমহলে আদিবাসী সমাজ লোকসভা ভোটের সময় তৃনমুল কংগ্রেসের থেকে অনেকাংশে সরে গেছে, বিরোধী দলের প্রলোভনে। যদিও জননেত্রী মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন সহানুভূতিশীল সরকারের তরফে প্রথম থেকেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ও গ্রামগুলির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভাবে গ্রামগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সাধারণ সুযোগ সুবিধা, শিল্পী ভাতা, পেনশন, বিধবা ভাতা, দ্রুত আদিবাসীদের সমস্যার সমাধানের জন্য প্রশাসনের পৌঁছে যাওয়া সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবুও একশ্রেণির সমাজের প্রতিনিধির ভুল বোঝানোর জন্য আদিবাসী সমাজ আজ মূলত দুভাগ, সামাজিক সংগঠন টিও আড়াআড়িভাবে বিভক্ত।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীতে ২০১৯ শালের জানুয়ারী মাসে জেলার বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পর শালবনি ব্লকের তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল সিংহ,আদবাসী সম্প্রদায়ের সমাজপতিদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ভঞ্জমুলুক বিধু-চাঁদান জাঁহের গাড় (দেবস্থানের) পাট্টা। সেই আসমানচকে দেবমন্দিরের কাছেই, শালবনির বিডিও সঞ্জয় মালাকার ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ী, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহের প্রচেষ্টায় ও জেলায় নেপাল বাবুর উদ্যোগে অনগ্রসর শ্রেনীকল্যান দপ্তরের অর্থানুকূল্যে ২২ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে আদিবাসী মানুষের মন্দিরের পবিত্রতা,আদিবাসী সাংস্কৃতিক সম্বন্বয় ও চর্চার জন্য নির্মিত হতে চলেছে কমিউনিটি হল ও ফেন্সিং।

Advertisement

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১২ ঐ জানুয়ারী সময় বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে এবং আদবাসী মেলা উপলক্ষে শালবনি ব্লকের আসমানচক ভঞ্জমুলুক বিধু-চাঁদান জাঁহের গাড় (দেবস্থানে) এর জমির অধিকার পাট্টা হিসাবে বনদপ্তর থেকে আদবাসী সমাজপতিদের হাতে তুলে দেন প্রাক্তন শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ। তিনি তার আগেই ঐ স্থানে নির্মাণ করে দিয়েছিলেন পানিয় জলের ব্যবস্থা ও লাইট। তবুও এই দাবি ছিলো দীর্ঘদিনের, সরকারের উদ্যোগে সেই জাহের স্থানে ২২ লক্ষ্য টাকা খরচে নির্মিত হবে কমিউনিটি হল ও ফেন্সিং।

আগামীতে যেখানে আগামী দিনে আদবাসী সমাজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আদবাসী সংস্কৃতিক চর্চা ও বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রকল্পের ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এর আগে শালবনীতে আদিবাসী কল্যাণ বিভাগের অর্থে মহাশোলে কলোনি গ্রামেই কমিউনিটি হলের কাজ শুরু হয়েছিলো তার কাজ ইতিমধ্যেই শেষের মুখে বলে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ জানিয়েছেন। এখন দেখার আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই আদিবাসী এলাকাগুলিতে পরাজিত তৃনমুল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কের পরিবর্তন এই উন্নয়নের মধ্য দিয়ে হয়, না আবার আগের ফলের পুনরাবৃত্তি ঘটে


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

3 × three =