Featured Video Play Iconজেলা 

তৃণমূল প্রাথমিক সমিতির তন্ময় সিংহের মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলে অভিযোগের সুফলে ভর্তির সুযোগ হল শালবনীর হবু কন্যাশ্রীদের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি :  মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর স্বপ্নের “কন্যাশ্রী” আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে বাংলা সহ সারা ভারতের মহিলাদের স্কুলমুখী করে বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য একটি অসামান্য মাইলফলক প্রকল্প। শালবনী নীচু মঞ্জরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বাসবী ভাওয়াল মন্ডলকূপী, তিলাখুলা ও টুরাপাড়া থেকে নয়-দশ জন ছাত্রীকে ভর্তি নিচ্ছেন না বলে খবর পান মেদিনীপুর সদর মহকুমার তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কনভেনার তন্ময় সিংহ।

তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক চন্দন খুটিয়া কে জানালে, তিনি জানান তাঁর চেষ্টায় ও জেলা স্তরের আধিকারিকের চেষ্টায় একজন ভর্তি হয়েছে, কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষিকা অনড় ছাত্রীদের নবম শ্রেনীতে তার বিদ্যালয়ে ভর্তি না নিতে। স্থানীয় স্তরে এলাকার বিশিষ্টজন নারায়ন সিংহ সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সরকারি কর্মীও এই ভর্তির বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করেন ও উচ্চ স্তরে বিষয়টি লিখিত জানান। তন্ময় সিংহ স্থানীয় স্তরে মন্ডলকূপী জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে এই ছাত্রীদের ডিটেইলস সংগ্রহ করে, বিভিন্ন জনকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন।

Advertisement

শেষপর্যন্ত কোনো কাজ না হওয়ায় তন্ময় বাবু “মুখ্যমন্ত্রী গ্রিভান্স সেলে” ও “দিদিকে বলো” তে বিষয়টি জানান। সরকারি নির্দেশ আসে সঙ্গে সঙ্গেই, এই বিষয়টি গতকাল প্রকাশ্যে আসতেই তন্ময় বাবু ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করেন ও সকলকেই আজ ও আগামীকাল বিদ্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করে শনিবার অবশ্যই নবম শ্রেনীতে ভর্তি করার অনুরোধ জানান।

তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহকুমা কনভেনার তন্ময় সিংহ বলেন “স্থানীয় স্তরে এই বাচ্চাগুলোর সাথে কথা বলে তারা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেখে ও কয়েকজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হওয়ায় তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন এবং সকলকে নবম শ্রেনীতে ভর্তির এই সুযোগ তৈরী করে দেওয়ার জন্য তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল, দিদিকে বলো টীম,সদর উত্তরের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক চন্দন খুটিয়া,নারায়ন সিংহ সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ ও সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র কে।” অনেক লড়াইয়ের পর ভর্তির সুযোগ পেয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রী জয়া কপাট ও তার মা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও তাদের এতোদিনকার কষ্টের কথা তুলে ধরেন তাদের বক্তব্যে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

18 − fifteen =