কলকাতা 

দিল্লিতে গুজরাত মডেল প্রয়োগ করা হয়েছে। দিল্লিতে যা হয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। দিল্লিতে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণহত্যা হয়েছে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল কলকাতার শহিদ মিনার থেকে মমতা সরকারের পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । ২৪ ঘন্টার মধ্যে অমিত শাহকে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি কড়া ভাষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে বললেন, দিল্লির হিংসা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে ।

অমিত শাহ ও বিজেপিকে টার্গেট করে মমতার মন্তব্য : 

আমরা ধ্বিকার জানাই দিল্লিতে যা ঘটেছে।দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকার বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। দিল্লির সরকারের ঔদ্ধত্য যেন না শিখি। উস্কানি যারা দিয়েছেন, তাঁদের গ্রেফতার নয় কেন? মানুষে মানুষে ভাগ হতে দেবেন না। ওখানে (দিল্লিতে) পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। বিজেপি এর পরেও ক্ষমা চায়নি।দিল্লিতে গুজরাত মডেল প্রয়োগ করা হয়েছে। দিল্লিতে যা হয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। দিল্লিতে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণহত্যা হয়েছে।দিল্লির কাণ্ডকে পরিকল্পিত ভাবে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হয়েছে।

দিল্লিতে পরিকল্পিত ভাবে গণহত্যা করা হয়েছে। এর পর তাকে দাঙ্গার চেহারা দেওয়া হয়েছে।  গত কয়েক দিন ধরে দিল্লির মাটিতে যে ভাবে মানুষ হত্যা হয়েছে এটা পরিকল্পিত গণহত্যা। কারা গদ্দার, তা মানুষ ঠিক করে নেবে। আপনারা কে? যাঁরা ‘গোলি মারো’ বলছেন, তাঁরা অমানবিক। তাঁদের ভাষা দানবিক। আমি কেন গণহত্যা বলছি? কারণ পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। দেশের সম্মান তলিয়ে দিয়েছে এই সরকার। যাঁরা দিল্লির মতো একটা ছোট জায়গা সামলাতে পারে না, তাঁরা দেশ সামলাবে?কংগ্রেসের সারা দেশে সংগঠন রয়েছে। কেন প্রতিবাদ নেই সারা দেশে?

দেশের প্রতিষ্ঠান নাম যখন-তখন বদলে দেওয়া হচ্ছে । দেশের ইতিহাস বদলে দেওয়া হচ্ছে। দেশকে অসম্মান করা হচ্ছে। এ দেশ থেকে যত দিন বিজেপি না যাবে, তত দিন আন্দোলন চলবে।  আজ সারা দেশে জাতের নামে আগুন লাগানো হচ্ছে। আজ দেশের অর্থনীতি বেহাল। বেকার সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌছেছে।

কাল এসে বলছেন, ২০০ আসন টার্গেট করব। ৩০০ নয় কেন? এতগুলো উস্কানিমূলক কথা বলার পর, বিজেপির সেই নেতা কেন গ্রেফতার হননি?দিল্লিতে সংসদে সাতটার মধ্যে সাতটা আসনই জিতেছে, কী উপহার দিয়েছে, দাঙ্গা।

(দিল্লির ঘটনায়) ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা, এখানে এসে ক্ষমতা দখলের কথা বলছেন!বাম-কংগ্রেস ঘোলা জলে মাছ ধরছে। কেন ৯৪ আসন ছেড়ে রাখতে চায় বিজেপি? বিজেপি প্ররোচনা দেবে, সংঘাতে জড়াবেন না। কেন বাঙালিদের তাড়ানো হচ্ছে? রাজ্যে রাজ্যে বাঙালিদের তাড়ানো হচ্ছে।

Advertisement

এরপর দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে নেত্রী বলেন : 

নিজের মতো করে দল করলে অন্য জায়গায় চলে যান। দল একটাই, জোড়াফুল।  দলের থেকে নেতা বড় নয়।

 দল যা বলবে শুনতে হবে।  কোনও কোনও জেলা নিজেদের ইচ্ছা মতো পার্টি করছেন, এটা হতে দেব না।

ভাল কাজ করলে তাঁর টিকিট সিকিউরড। কংগ্রেস-সিপিএম ভোট ভাগাভাগি করে বিজেপিকে জিতিয়েছে।

পুরনো-নতুনদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসে কোনও লবি হয় না। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা অনেক ভাল। যাঁরা বেআইনি কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলা সারা বিশ্বকে মানবতা শিখিয়েছে। গরিবদের যেন অবহেলা না হয়। তৃণমূল কর্মীরা যেন আইন হাতে তুলে না নেন। নিজেদের এ ভাবে গড়ে তুলুন তৃণমূল কর্মীরা। আমাদের আরও নম্র হতে হবে। আরও বিনয়ী হতে হবে।আইন হাতে তুলে না নিয়ে বিরোধিতা করুন।

বিজেপিকে সরাসরি নিশানা করে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মমতা । এক, বিরোধীরা এতদিন বলছিল দিল্লি নিয়ে নিরব কেন মমতা ? সরাসরি অমিতকে টার্গেট করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন সময় এলেই তিনি মুখ খুলবেন । দুই , বিজেপিকে যে এই রাজ্যে এক ইঞ্চি জমি দখল করতে দেবেন মমতা তাও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

15 − 8 =