শাহিনবাগের বিকল্প ৫টি রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ : মধ্যস্থতাকারী
বাংলার জনরব ডেস্ক : শাহিন বাগের বিকল্প আরও ৫টি রাস্তা বন্ধ রেখেছে দিল্লি পুলিশ বা অন্য কোনো ব্যক্তি । যারা বিকল্প রাস্তা বন্ধ রেখেছে তাদের নাম প্রকাশ করুক পুলিশ এই দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিলেন মধ্যস্থতাকারীদের অন্যতম ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ । তিনি আদালতকে জানিয়েছেন , মহিলারা মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই শাহিন বাগকে বেছে নিয়েছেন। তা সত্ত্বে তারা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন ।
তিনি আরও বলেন, ওই এলাকায় আরও পাঁচটি বিকল্প রাস্তা রয়েছে, যেগুলি বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ অথবা স্থানীয়রা, এবং বিক্ষোভকারীরা যাতায়াতায়ের সমস্যা করছেন বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। আদালতে দেওয়া হলফনামায়, তিনি বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি যে, অনেক রাস্তা রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক নেই, অপ্রয়োজনীয়ভাবে সেখানে ব্যরিকেড করেছে পুলিশ, নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন ছেড়ে দিয়েছে তারা এবং ভুলভাবে বিক্ষোভকারীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এটিই ব্যারিকেড করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা রাস্তা, যা ফলে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে”।
ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ বলেন, এলাকার সমান্তরাল এবং মূল রাস্তাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা উচিত পুলিশের। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছিল, বিক্ষোভকারীদের দ্বারা রাস্তা বন্ধ থাকা, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল বিজেপি এবং তাঁদের উৎসাহ জোগানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিষয়টিকে, “শাহিনবাগে বিরিয়ানি খাওয়ানোর” অভিযোগ তুলেছিলেন।
ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ বলেন, যেভাবে রাজনৈতিক দলের তরফে বলা হচ্ছে, স্কুল ভ্যান বা অ্যাম্বুল্যান্স আটকাচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা। হলফনামায় তিনি বলেন, “আমায় বলা হয়েছিল যে, সমস্ত স্কুল ভ্যান এব্ং অ্যাম্বুল্যান্সকে, বিক্ষোভস্থল দিয়ে পরিষ্কার রাস্তা করে দেওয়া হয়”। ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ ছাড়ও, বর্ষীয়ান আইনজীবী সঞ্জয় হেগরে এবং সাধনা রামচন্দ্রণকে মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট।