কলকাতা 

‘‘প্রতিবাদে ভয় পাচ্ছে আরএসএস-বিজেপি;ধর্মের নামে বাংলাকে কখনও ভাগ হতে দিইনি আমরা, আর কখনও দেবও না। আরএসএস-এর রাজনীতি মানি না আমরা ; একজোট হয়ে ওদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে’’ কলকাতায় এক সভায় আহ্বান ঐশীর

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বুধবার নিজের জন্মভূমির মাটিতে দূর্গাপুরে ঐশীকে মিছিল করতে দেয়নি রাজ্য প্রশাসন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার খোদ কলকাতাতেও জেএনইউ-র সভানেত্রীকে সভা করতে দিল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । দুর্গাপুরের ক্ষেত্রে পুলিশ কারণ দেখিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জানালেন, বহিরাগত কাউকে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে সভা করতে দেওয়াটা ঐতিহ্যের পরিপন্থী

গত কাল রাস্তায় দাঁড়িয়েই দুর্গাপুরে সভা করেন ঐশী। দিনও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে সভা করলেন। তার পর যোগ দিলেন নাগরিক মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সভা থেকে দিন ঐশী আক্রমণ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলন সিএএএনআরসির বিরুদ্ধে তাতে বাধা দিয়ে আদতে বিজেপি এবং আরএসএসেরই সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে’’

Advertisement

দিন ঐশীকে নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে সভা করার পরিকল্পনা ছিল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাদের সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও যে অনুমতি দেবেন না, আগেই তা আঁচ করা গিয়েছিল। তার পরেও দিন সকালে এসএফআইয়ের কর্মীসমর্থকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে সভার প্রস্তুতি শুরু করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক এবং কর্মীদেরও তাতে অংশ নিতে বলা হয়। কিন্তু তাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে যাতে ধরনের কোনও সভা না হয়, তার জন্য দুটো ফটকই বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে সেখানে পুলিশও এসে পৌঁছয়। কোনও ধরনের অশান্তি যাতে দানা বাঁধতে না পারে, সে দিকে কড়া নজর রাখা হয়

এমন পরিস্থিতিতে গেট ঠেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আর ঢুকতে পারেনি এসএফআই। তাই শেষমেশ গেটের সামনেই সভা করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেখানেই বক্তৃতা করেন ঐশী। তিনি বলেন, ‘‘কোন কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া হবে, আর কোনটায় দেওয়া হবে না, তা আগে ঠিক করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি, আমাদের কেন আটকানো হচ্ছে?’’

ওই সভা থেকে বিজেপি এবং আরএসএসকে একহাত নিয়ে ঐশী বলেন, ‘‘আসলে প্রতিবাদে ভয় পাচ্ছে আরএসএসবিজেপি তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তর্কবিতর্ক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললই বন্দি করা হচ্ছে কিন্তু বাংলায় সব চলবে না ধর্মের নামে বাংলাকে কখনও ভাগ হতে দিইনি আমরা, আর কখনও দেবও না আরএসএসএর রাজনীতি মানি না আমরা একজোট হয়ে ওদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

19 + 19 =