খেলা 

ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ , ভারতকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপ জিতে নিল

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ভারতকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপ জিতে নিল বাংলাদেশ । প্রথমে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ।ফলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বিপক্ষের সামনে বড় রানের লক্ষ্য টাঙিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ  ছিল ভারতের সামনে। অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ টস হেরে যাওয়ার পরও বলেছিলেন যে তাঁরা রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু, শুরু থেকেই বাংলাদেশের পেসারদের দাপটের সামনে অসহায় দেখাল ভারতীয়দের। ৪৭.২ ওভারেই দাঁড়ি পড়ল ইনিংসে। পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারলেন না ব্যাটসম্যানরা।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমন ও তানজিদ। খুব সহজেই তাঁরা সামলাচ্ছিলেন ভারতীয় বোলারদের। বাংলাদেশের দুই ওপেনার স্কোর বোর্ডে ৫০ রান তোলার পরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিদ (১৭)। রবি বিষ্ণোইকে মারতে গিয়ে তানজিদ ফেরেন কার্তিক ত্যাগীর হাতে ক্যাচ দিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এ দিন রবি বিষ্ণোইয়ের গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেলেন জয় (৮)। তৌহিদ হৃদয়কেও এলবিডব্লিউ করলেন বিষ্ণোই। শাহদাত হোসেনকেও ফেরালেন তিনি। তাঁর স্পিন সামলাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।  টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটের (১৭টি) মালিক তিনি। সুশান্ত মিশ্রর বলে যশস্বীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন শামিম হোসেন (৭)। সুশান্তর বলে অভিষেক দাস মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন কার্তিক ত্যাগীর হাতে। মারাত্মক চাপে থাকা বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য ফের নেমেছেন ওপেনার ইমন। পায়ে টান ধরায় তিনি উঠে গিয়েছিলেন। দলের বিপদে ফের নামেন ইমন। বেশ ভাল সামলাচ্ছিলেন তিনি। যশস্বীর বলে আকাশের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন ইমন (৪৭)। তার পরেও ম্যাচ বের করা গেল না। বাংলাদেশ ২৩ বল বাকি থাকতে ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল।

Advertisement

ভারতীয় ইনিংস কখনই গতি পেল না। প্রথম পঞ্চাশ এসেছিল ১৬.১ ওভারে। পরের পঞ্চাশের জন্য লেগেছিল ৭৩ বল। ১০০ থেকে ১৫০ রানে পৌঁছতে লাগল ৬২ বল। দেড়শো পেরিয়ে যাওয়ার পর শরিফুল ইসলামকে শর্ট আর্ম পুল মারতে গিয়ে আউট হলেন যশস্বী। তাঁর ১২১ বলে ৮৮ রানের ইনিংস সাজানো আটটি চার ও একটি ছয়ে। ভারতীয় শিবির চাইছিল, শেষ পর্যন্ত তিনি যেন ক্রিজে থাকেন। কিন্তু তা হল  না। শরিফুলের পরের বলেই এলবিডব্লিউ হলেন সিদ্ধেশ (এক বলে ০)।

বাংলাদেশের ফিল্ডিং এদিন আগাগোড়াই দুর্দান্ত হচ্ছিল। মন্থর উইকেটে শট নিতে সমস্যার পাশাপাশি বঙ্গ-বিগ্রেডের ফিল্ডিং চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। ইনিংসের শেষের দিকে পর পর দুটো রান আউট তারই প্রমাণ। ধ্রুব জুড়েল ও অথর্ব আনকোলেকর তো ভুল বোঝাবুঝিতে দু’জনেই একপ্রান্তে পৌঁছে গেলেন। আউট হলেন ধ্রুব (৩৮ বলে ২২)। এর পর রান আউট হলেন রবি বিষ্ণোই (ছয় বলে ২)। অভিষেক দাসের বলে ব্যাটে লাগিয়ে বোল্ড হলেন অথর্ব (সাত বলে ৩)। কার্তিক ত্যাগীও (পাঁচ বলে ০) শিকার হলেন অভিষেকের। সুশান্ত মিশ্র (আট বলে ৩) উইকেট দিলেন তানজিম হাসান শাকিবকে। ১ রানে অপরাজিত থাকলেন আকাশ সিংহ।

হাসান মুরাদের পরিবর্তে ফাইনালে বাংলাদেশ দলে এসেছিলেন অভিষেক দাস। সেই তিনিই নজর কাড়লেন পেস বোলিংয়ে। নয় ওভারে ৪০ রানে তিন উইকেট নিলেন তিনি। বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলামও প্রশংসিত হলেন। তাঁর ১০ ওভারে উঠল মাত্র ৩১ রান। দুই উইকেটও নিলেন তিনি। বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল ইসলামের ১০ ওভারে উঠল আরও কম, মাত্র ২৯ রান। তিনি নিলেন এক উইকেট। তানজিম হাসান শাকিব ২৮ রানে নিলেন দুই উইকেট। ১৫৬ রানে চতুর্থ উইকেট পড়েছিল ভারতের। সেখানে থেকে ১৭৭ রানে দাঁড়ি পড়ল ইনিংসে। শেষ সাত উইকেট পড়ল মাত্র ২১ রানে।

ভারতীয় দলে এদিন কোনও পরিবর্তন হয়নি। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর দলই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ দলে অবশ্য একটি পরিবর্তন হয়েছিল। এসেছিলেন অভিষেক দাস। বাতাসের আর্দ্রতাকে কাজে লাগানোই টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের উদ্দেশ্য বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলি। আর সেটাই কাজে লাগালেন তাঁর বোলাররা। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কখনই স্বস্তিতে থাকতে দিলেন না পদ্মা পারের বোলাররা। সৌজন্যে : ডিজিটাল আনন্দবাজার।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

one × 3 =