কলকাতা 

কোনো টিপ্পনী নয় , রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই পড়লেন রাজ্যপাল , ‘‘সংবিধানের মর্যাদা রেখেই আজকে ভাষণ দিয়েছি আমি”: জগদীপ ধনকড়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কাল বিকেলেই জানিয়েছিলেন তিনি রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে ইতিহাস তৈরি করবেন । প্রথা মেনে রাজ্য সরকারের তৈরি করা ভাষণ তিনি পড়বেন ঠিকই তবে নিজস্ব মতামত প্রদান করবেন বলে জানিয়েছিলেন । কিন্ত তা আর হল না । কোনো টিপ্পনী কাটলেন না । গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্ন জানিয়ে দেয় কোনোভাবেই টিপ্পনী কাটা যাবে না । রাজ্যপাল সরকারের মনোভাব আঁচ করেই মত বদল করেন ।

তাই শুক্রবার রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হতেই স্পষ্ট হয়ে যায়  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়ে কোনও ‘টিপ্পনী’ তো দূর, বরং বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন রাজ্যপাল। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, ঐক্যশ্রী-সহ সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রশংসা করেন তিনি। জানান, বিগত কয়েক বছরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ ছিল। রাজনৈতিক কারণে কিছু গোষ্ঠী নৈরাজ্য তৈরির চেষ্টা চালালেও, শান্তিপূর্ণ ভাবে তার মোকাবিলা করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সাহায্য ছাড়াই সরকার বুলবুলের মোকাবিলা করেছে।

Advertisement

সম্প্রতি লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টেপাধ্যায়। এ দিনের ভাষণে তা-ও খারিজ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যে সব উৎসব একই রকম ভাবে পালিত হয়েছে বলে জানিয়ে দেন তিনি। যে সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে বার বার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে, এ দিন তা নিয়েও রাজ্যের সুরে কার্যত গলা মেলাতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘ভিন্ন মতকে প্রত্যাখ্যান করাই নতুন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর-এর নামে বিভেদ সৃষ্টি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সিএএ আইন প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানোর কথাও বলা হয়  তাতে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন রাজ্যপাল।

বিধানসভায় নিয়ম মাফিক সব কিছু শেষ করলেও, ভাষণ শেষে বেরনোর সময় প্রথা ভেঙে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে যান রাজ্যপাল। কিছু ক্ষণ পর অধ্যক্ষের ঘরে গিয়ে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে তিন জনের মধ্যে আধঘণ্টা বৈঠকও হয়। মুখ্যমন্ত্রী এবং অধ্যক্ষের সঙ্গে রাজ্যপাল চা পান করেন বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠক শেষে বেরোতেই রাজ্যপালকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজভবনে ফিরে এ দিনের ভাষণ নিয়ে টুইট করেন ধনখড়। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘সংবিধানের মর্যাদা রেখেই আজকে ভাষণ দিয়েছি আমি। আমার আশা, সকলেই সংবিধানের প্রতি আনুগত্য দেখাবেন। এ ভাবেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বাড়িয়ে মানুষের সেবা করা যায়।’’

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

2 × 3 =