দেশ 

দিল্লি নির্বাচনের তিন দিন আগে মোদী রাম মন্দির ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করেও কী বিজেপিকে জেতাতে পারবেন? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দিল্লি নির্বাচনের ঠিক ৩ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সংসদে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ট্রাস্ট তৈরির ঘোষণা করলেন । দিল্লি নির্বাচনের প্রচার শেষ হওয়ার ঠিক একদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে রাজনৈতিক চমক বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ।

আজ বুধবার লোকসভায় মোদী বলেন, ‘‘আমার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে। ওই ট্রাস্ট রাম মন্দির নির্মাণ ও সেই সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’’ এর পরই মোদী সংসদে আহ্বান জানান, ‘‘আসুন অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণকে সমর্থন জানাই।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার পক্ষের সাংসদরা সংসদে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তোলেন। ট্রাস্টি বোর্ডে ১৫ জন সদস্য থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে। মসজিদ গড়ার জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। শীর্ষ আদালত অযোধ্যার বিতর্কিত ওই জমি বোর্ড অব ট্রাস্টের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে ট্রাস্ট গঠনের জন্য তিন মাস সময়ও দেওয়া হয়।

শীর্ষ আদালত গত বছর নভেম্বরের শুরুতে রায় দিলেও, ট্রাস্ট গঠনের জন্য অনেকটাই সময় ব্যয় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ট্রাস্টে কারা থাকবেন সেই নাম বাছাই করতে কিছুটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রামমন্দির ইস্যুকে ফের চাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এত দিন ‘উপযুক্ত সময়’-এর অপেক্ষায় ছিল তারা। সুপ্রিম কোর্ট মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিলেও, সেই ইস্যুকে এখনই ফুরিয়ে যেতে দিতে নারাজ বিজেপি। তাই বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করার পর, দিল্লি ভোটের মুখে ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করে ফের হিন্দুত্বের রাজনীতিকেই তুলে ধরেছে তারা।

শুরু থেকেই শাহিন বাগ ও জামিয়া মিলিয়ায় চলা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদকে দিল্লির ভোটে টার্গেট করেছে বিজেপি। এ বার সেই সঙ্গে জুড়ল রামমন্দির ইস্যুও। সুপ্রিম কোর্ট ট্রাস্ট গঠনের জন্য যে তিন মাস সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা-ও এখন শেষ হওয়ার মুখে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের ব্যাখ্যা, ভোটের আগে ভেবেচিন্তেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করল বিজেপি।

কিন্ত প্রশ্ন উঠেছে শাহিন বাগকে আক্রমণ , অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জঙ্গি এবং শেষে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাষ্ট গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পরেও কী দিল্লিতে বিজেপি জিততে পারবে ? বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় এটা স্পষ্ট বিজেপি আর কোনোভাবেই দিল্লিতে জিততে পারবে না । এরপর নির্বাচন রয়েছে বিহারে ।সেখানেও বিজেপি জোটের ভরাডুবি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা । কানাইয়া কুমারের উপর হামলাতে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে বিহারের মাটিতে ভাজপার জনপ্রিয়তা কমছে ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

1 + 3 =