জামিয়ার ‘দেশদ্রোহী’দের উপর হামলা করার জন্য রামভক্ত গোপালকে সংবর্ধনা দেবে হিন্দু মহাসভা
বাংলার জনরব ডেস্ক : মহাত্মা গান্ধীর আত্মবলিদান দিবসে এক ১৭ বছরের যুবক জামিয়ার পড়ুয়াদের সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের সামনেই ঢুকে পড়ে গুলি চালায় । রামভক্ত গোপালের গুলিতে জখম হন জামিয়ার পড়ুয়া শাদাব ফারুক । এই ভাবে প্রকাশ্যে সিএএ বিরোধী মিছিলে হামলা চালানোয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ক্ষুদ্ধ হন । তিনি এর কঠোর শাস্তি দাবি করেন । কিন্ত পরে দিল্লি পুলিশ জানায় ওই রামভক্ত নাকি মাত্র ১৭ বছরের ছেলে । তাই তাঁকে সাবালক বলে বিচার করা হবে না । এদিকে রামভক্ত গোপালের সাহসিকতার মুগ্ধ হয়েছে হিন্দু মহাসভা । তারা মনে করছে , গোপাল যথাযথই ‘‘নাথুরামের যোগ্য উত্তরসূরি ও।’’
শুক্রবার হিন্দুমহাসভার মুখপাত্র অশোক পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এই ছেলেটির জন্যে ছেলেটির জন্যে গর্বিত। জামিয়ার অ্যান্টি ন্যাশনালদের মুখ বন্ধ করতে উদ্যত হয়েছিল। একেবারে আজাদি দিয়ে দিতে চেয়েছিল।’’ অশোক পাণ্ডের আরও দাবি, ‘‘শরজিলের মতো দেশদ্রোহীদের গুলি করেই মারা উচিত।’’
দিল্লি ভোটের প্রচারে গিয়ে ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো’ স্লোগান তুলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ৫ জানুয়ারি জেএনইউয়ে কাপড়ে মুখ ঢেকে দুষ্কৃতীরা চড়াও হওয়ার দিনেও এই স্লোগান শোনা গিয়েছিল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি–র সমর্থকদের মুখে। ফলে বিরোধীরা এই ঘটনার জন্যে গেরুয়া শিবিরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে । বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন রাহুল গাঁধী। ‘‘কে টাকা জোগাল এই বন্দুকবাজকে?’’প্রশ্ন রাহুলের। রাজনৈতিক মহলের অনুমান রাহুল ঘুরিয়ে শাসক দলের দিকেই আঙুল তুলছেন। বৃহস্পতিবারই মুখ খুলেছিলেন রাহুল। তিনি মহত্মা গাঁধীকে উদ্ধৃত করেন। লেখেন, ‘‘এই অবস্থায় জীবনের মূল্যেই মাথা না নোয়ানোর শিক্ষা অর্জন করতে হবে।’’