ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে মহাত্মাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মন্ত্রীর সামনেই পুলিশ কর্তাকে ধমক দিলেন রাজ্যপাল
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আচরণ দিন দিন মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে । আজ মহাত্মা গান্ধীর ৭২ তম মৃত্যু দিবসে ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ব্যারাকপুরের পুলিশ কর্তাকে রীতিমত ধমক দেন বলে অভিযোগ । সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী এদি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে নিজের গাড়িতে ওঠার আগেই হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়েন রাজ্যপাল। সামনে তখন দাঁড়িয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ বর্মা । তাঁর পাশে শোভনদেব। রাজ্যপাল আচমকাই মনোজের উদ্দেশে তীব্র ভর্ৎসনার সুরে বলেন, ‘‘আজ শহিদ দিবস, আর আপনি সামনের সারিতে বসে খবরের কাগজ পড়ছেন! এতটাই হেলদোলহীন আপনি! অনুষ্ঠানের গুরুত্বের নিরিখে আপনার আচরণ অনুপযুক্ত।”
মনোজ বর্মার উদ্দেশে রাজ্যপালকে রীতিমতো তর্জনী উঁচিয়েও কথা বলতে দেখা গিয়েছে এ দিন। মনোজকে তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা মারাত্মক গাফিলতি। আমি খুব বিরক্ত হয়েছি।” এর পরেই তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো খড়্গহস্ত হন। ক্ষুব্ধ রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার মনে হয় না এ রাজ্যে যেখানে আমি বসবাস করছি, সেখানে আদৌ কোনও আইনের শাসন আছে।’’ রাজ্যপালের কথা শুনে কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন মনোজ। কিন্তু,তাঁকে থামিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন রাজ্যপাল। তিনি ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে বলেন,‘‘এটা খুবই লজ্জাজনক।”
ব্যারাকপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। লোকসভা ভোটের সময় থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন,‘‘ওঁদের নামের তালিকা আমাকে পাঠাবেন।” একই সঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি কোনও ফাইল খুললে তার শেষ পর্যন্ত না দেখে, সেই ফাইল বন্ধ করিনা।” তবে রাজ্যপাল কাদের নামের তালিকা মনোজকে পাঠাতে বলেছেন, তা যদিও স্পষ্ট হয়নি। মনোজকে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে আদৌ আইনের শাসন আছে বলে মনে হয় না। আপনাদের মতো উর্দিধারীরা যদি এ রকম আচরণ করেন, তা হলে আমরা কোন দিকে এগোচ্ছি!”
এর পর স্ত্রী–কে নিয়ে গা়ড়়িতে ওঠেন রাজ্যপাল। তবে তার আগে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেন। বলেন, ‘‘এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়েছে। নৈরাজ্য চলছে।একটা বিস্ফোরক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এ রাজ্য।’’ সৌজন্যে : ডিজিটাল আনন্দবাজার।