“ কাশ্মীরের মতো মুসলিম প্রভাবিত অঞ্চলে মোদী সরকারের কঠোর পদক্ষেপ একটা বড় আশঙ্কার বিষয়। মোদীর হিন্দু রাষ্ট্র বানোনোর তাগিদে দেশের লাখ লাখ মুসলিমকে তাঁদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন।” : জর্জ সোরস
বাংলার জনরব ডেস্ক : শুরু করেছিলেন নিজের দেশের অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রতারক আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন নিজের স্বার্থ দেখতে গিয়ে ট্রাম্প দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতেও ইতস্তত করেন না । শুধু তাই নয়, ভোটে জেতার জন্য ট্রাম্প যা খুশি করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন-হাঙ্গেরীয় ধনকুবের জর্জ সোরস। তারপরেই এই প্রখ্যাত শিল্পপতির রোষের হাত থেকে রেহাই পেলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম–এর মঞ্চ থেকে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় গণতন্ত্রকে মোদী ‘ধ্বংসের মুখে’ ঠেলে দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন সোরস। তিনি বলেন, “ কাশ্মীরের মতো মুসলিম প্রভাবিত অঞ্চলে মোদী সরকারের কঠোর পদক্ষেপ একটা বড় আশঙ্কার বিষয়। মোদীর হিন্দু রাষ্ট্র বানোনোর তাগিদে দেশের লাখ লাখ মুসলিমকে তাঁদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন।”ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের এই মঞ্চ থেকেই তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন আমেরিকা, চিন, রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশগুলোকে। বিশ্বজুড়ে কী ভাবে রাষ্ট্রনেতারা একনায়কতন্ত্রকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন সোরস। এর পরই ভারতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদীর শাসননীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
পরিবেশের বিপন্নতা এবং বিশ্ব জুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা নিয়েও মুখ খোলেন সোরস। তাঁর দাবি, এটা অতিশয়োক্তি হবে না যে, ২০২০ এবং আগামী বছরগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং–এর ভবিতব্যই শুধু নির্ধারণ করবে না, সঙ্গে গোটা বিশ্বেরও ভবিষ্যত্ নির্ধারিত করবে।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ও সিএএ আইন চালু করার পর ভারত সরকার বলে আসছিল এটা দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় । কিন্ত দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক মঞ্চ থেকে যেভাবে সরাসরি মোদী সরকারকে টার্গেট করে বিশ্বের প্রথম সারির শিল্পপতি মন্তব্য করলেন তাতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত সরকার ।