দেশ 

দেবেন্দ্র সিংহ কেন গত বছর তিনবার বাংলাদেশ গিয়েছিলেন খতিয়ে দেখছে এনআইএ , নেপথ্যে কী আরও বড় কেউ আছেন ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  গ্রেফতার হওয়া জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি দেবেন্দ্র সিংহকে নিয়ে রহস্য ক্রমেই দানা বাধতে শুরু করেছে । জাতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর শুধুমাত্র গতবছর ২০১৯ সালেই তিনি তিনবার বাংলাদেশ গিয়েছেন ।

গত ১১ জানুয়ারি কুলগামের কাছে তিন জঙ্গির সঙ্গে একই গাড়িতে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয় দেবেন্দ্র সিংহকে। তাঁর সঙ্গেই ধরা পড়ে হিজবুল জঙ্গি নাভিদ বাবু ও আতিফ এবং স্থানীয় এক আইনজীবী তথা জঙ্গিদের সাহায্যকারী ইরফান মির। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গ্রেনেড। তার পর থেকেই পুলিশ ও গোয়েন্দা মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা, গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র), সেনা গোয়েন্দা সহ নানা বিভাগের গোয়েন্দারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ২০১৯ সালের মধ্যে তিন বার দেবেন্দ্র বাংলাদেশে গিয়েছিলেন এবং প্রতিবারই বেশ কিছু দিন করে কাটিয়েছেন ঢাকায়। সেখানে তাঁর কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য জোগাড়ের কাজ শুরু করেছেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। দেবেন্দ্রর দুই মেয়ে বাংলাদেশে এমবিবিএস পড়ছেন। কারণ হিসেবে দেবেন্দ্র সেটা দেখালেও প্রকৃত উদ্দেশ্য অন্য হতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের সন্দেহ রয়েছে, ঢাকায় আইএসআই-এর লোকজনের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হতে পারে এবং কথা হতে পারে দেবেন্দ্রর। এ ছাড়া জঙ্গি দলের সদস্যদের সঙ্গেও তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারত থেকে বাংলাদেশে পড়তে যাওয়ার নজির সাধারণত অত্যন্ত কম। এবং এই ধরনের ঘটনা বিরলও বলা চলে। কিন্তু দেবেন্দ্রর দুই মেয়েকেই ঢাকায় পড়তে পাঠানোর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর। দেবেন্দ্র দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বা আইএসআই চালাতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। সেই সূত্রেই দেবেন্দ্রর সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে ‘বিসদৃশ’ লেনদেনের খোঁজ চলছে।

যে জঙ্গির সঙ্গে দেবেন্দ্র ধরা পড়েছে, সেই নাভিদ বাবুর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২০ লক্ষ টাকা। অন্য দিকে তদন্তকারীদের দাবি, দেবেন্দ্র জেরায় স্বীকার করেছেন, জঙ্গিদের ‘সেফ প্যাসেজ’ দিতে তাদের কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। নাভিদকে গ্রেফতার করলে যেখানে ২০ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা, সেখানে ১২ লক্ষ টাকায় রফা করে কেন জঙ্গিদের সাহায্য করলেন দেবেন্দ্র, এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। অর্থাৎ শুধুমাত্র জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া নয়, পিছনে আরও অনেক বড় কারণ থাকতে পারে বলেই ধরে নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।

পাশাপাশি দেবেন্দ্র একা, নাকি আরও কোনও পুলিশ অফিসার এই চক্রে জড়িত, তা নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত। ফলে উপত্যকার পুলিশকর্মী-অফিসার মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দবাজার ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

15 + three =