রাহুল গান্ধী নিজে ফোন করে ইফতারে আমন্ত্রন জানালেন প্রণবকে,সবার আগে বাজপেয়ীকে দেখতে হাসপাতালে তিনি,
বিশেষ প্রতিবেদকঃ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী আবারও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিচয় দিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ী অসুস্থ হয়ে এইমসে ভর্তি হয়েছেন এই খবর পাওয়ার পর সবার আগে হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাহুল গান্ধী। এমনি কী বিজেপি নেতারাও তার পরে হাসপাতালে পৌছায়। রাহুল গান্ধীর এই রাজনৈতিক সৌজন্য নিয়ে দেশের রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। মোদী সহ বিজেপির তাবড় তাবড় নেতা যাদেরকে হাতে গড়ে বাজপেয়ীজি তৈরি করেছিলেন তাঁরা খবর পাওয়া সত্তে দেরিতে হাসপাতালে পৌছান। অথচ রাজনৈতিক মতাদর্শের তফাৎ থাকা সত্তে রাহুল গান্ধী দেশের একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে দেখতে সরাসরি ছুটে গেলেন হাসপাতালে মোদীর আগেই।এ নজীর দেশের রাজনীতি খুব কমই আছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেল আয়োজিত ইফতার পার্টিতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আমন্ত্রন করেননি আয়োজকরা। এ খবর জানার পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সরাসরি প্রণববাবুকে ফোন করে ইফতারে আসার আমন্ত্রন জানিয়েছেন। এই দুুটি ঘটনাতে রাহুলের রাজনৈতিক পূর্ণতার পরিচয় বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। প্রণববাবুকে ইফতারের আমন্ত্রণ জানিয়ে একদিকে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন,সেই সঙ্গে এটাও প্রমান করলেন প্রণববাবু আসলে তাদের লোক। একই সঙ্গে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে যে তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা সম্মান পাওয়ার অধিকারী তা তিনি সরাসরি ফোন করে বুঝিয়ে দিলেন।
আসলে নেহেরু-গান্ধী পরিবার বরাবরই সৌজন্যের রাজনীতি করে এসেছেন বলে প্রাক্তন সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাহুল বাজপেয়ীজিকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়া থেকে শুরু করে প্রণবকে ফোনে ইফতারে আসার নিমন্ত্রণ করে তিনি রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সৌজন্যের যে নজীর গড়লেন তা আসলে ভারতীয় সংস্কৃতিরই পরিপূরক। এটাই নেহেরু-গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেসের সংস্কৃতি যা ভারতের চিরন্তন ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত।