কলকাতা 

কলকাতা পুরনিগমের সঙ্গেই কী বিধাননগর-আসানসোলের ভোট ? জোর জল্পনা রাজ্য-রাজনীতিতে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এ বছর এপ্রিল-মে মাস নাগাদ কলকাতা পুর নিগমের নির্বাচন হতে চলেছে । আর এই নির্বাচনের সঙ্গেই ভোট হতে চলেছে বিধাননগর ও আসানসোল পুরসভার । বিশেষ সূত্রে জানা গেছে , সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনে বিজেপি এখন অনেকটাই কোনঠাসা । তাই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগেই আসানসোল ও বিধাননগরে ভোট করিয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল । আর এই সূত্রের খবরে সিলমোহর পড়েছে ,আগামী ১৭ জানুয়ারি ৯৩টি পুরসভার আসন সংরক্ষণ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি (খসড়া তালিকা) প্রকাশ হতে চলেছে এই খবরে। ওই তালিকায় বিধাননগর এবং আসানসোল পুরসভাও রয়েছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। সে কারণেই ওই দুই পুরসভার ভোট এগিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে যখন খসড়া রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে, তখন নির্বাচনের একটা ইঙ্গিত তো রয়েছে। নির্বাচন হতে পারে, কমিশনও তৈরি হয়েছে।”

বিধাননগর পুরসভার মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই ওই এলাকায় তাঁর দল প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে। অন্য দিকে, আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির সামনেও কঠিন লড়াই। ক্রমশই সেখানে বিজেপির হাত শক্ত হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের আগে দুই পুরসভার নির্বাচনের ফলের কথা মাথায় রেখে, তৃণমূল কোনও ‘ঝুঁকি’ নিতে চাইবে না বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল। ফল খারাপ হলে বিজেপি-সহ বিরোধী দল প্রচারের অস্ত্র পেয়ে যাবে। নির্বাচন এগিয়ে এলে লাভই দেখছে তৃণমূলের একাংশ।

Advertisement

নির্বাচন যখনই হোক না কেন, সব সময় প্রস্তুত বলে আত্মবিশ্বাসী  তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষই। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের নিয়ন্ত্রক তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেছেন, “আমাদের কাছে নির্বাচন এগিয়ে আসার খবর নেই। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে বলে আমরা জানি। কিন্তু নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের জন্য তা আলাদা কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো আমরা সারা বছরই মানুষের জন্য কাজ করি, মানুষের পাশে থাকি। তাই নির্বাচনের জন্য আমরা সব সময়েই প্রস্তুত।”

নির্বাচন এগিয়ে আসার সম্ভাবনার প্রশ্নে বিজেপির প্রতিক্রিয়াও ঠিক একই রকম। বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র তথা রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘নির্বাচন এগনোর বিষয়ে কিছু এখনও জানি না। যতক্ষণ না হাতে কাগজ পাচ্ছি, তত ক্ষণ বলতে পারব না। তবে যখন হবে হোক, আমাদের কোনও অসুবিধা নেই।’’

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আসন সংরক্ষণ নিয়ে খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারির ৭০ দিন পর ভোট করাতে আইনি বাধা নেই। মার্চ মাসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও শেষ হয়ে যাবে। ফলে এপ্রিলের শুরুতে ভোট হতে কোনও বাধাই থাকছে না। সংরক্ষণের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হতে পারে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। তার পরই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর । সৌজন্যে : ডিজিটাল আনন্দবাজার।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

18 − fifteen =