আন্তর্জাতিক 

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন , রাম মন্দির নির্মান রায় নিয়ে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি ভারতের প্রতি ক্ষুদ্ধ , ভারতের মুসলিমদের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার জন্য মোদী সরকারের কাছে আহ্বান জানাল ওআইসি

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়ায় প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ আরব দেশগুলি । মোদীর বন্ধু দেশ বলে পরিচিত সৌদি আরবও বিষয়টির উপর নজর রেখেছে বলে জানা গেছে । সম্প্রতি বিশ্বের ৫৬টি মুসলিম দেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে , কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ , তিন তালাকের ফৌজদারীকরণ করা , রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে । সৌদি আরবের মত মোদীর বন্ধুর রাষ্ট্রও বলেছে স্বাধীনতার ৭২ বছরে যেখানে ধর্মের নামে কোনো আইন ভারতে হয়নি , সেখানে মোদী সরকার মুসলিমদের বাদ দিয়ে আইন তৈরি করছে যা ভারতের সংবিধানের বিরোধী । অর্গানাইজেশন অফ মুসলিম কনফারেন্সের প্রস্তাবে বলা হয়েছে , মোদী সরকারের আমলে ভারতে মুসলিমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে । সিএএ আইনে মুসলিমদের বাদ ‍দিয়ে ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আইনে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে । এই অবস্থায় মোদী সরকারের কাছে ইসলামিক দুনিয়া আবেদন করেছে অবিলম্বে ভারতের মুসলিমদের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক । বাবরি মসজিদের জমিতে রামমন্দির নির্মাণ করার রায় নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে ওআইসি ।

এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে সিএএতে মুসলিম নাম না ঢোকানো হলে শেষ পর্যন্ত আরব দেশগুলি ভারতের সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে । এমনকি ইরাণ এবিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে । তাই ইরাণকে সিএএ আইন বোঝানোর জন্য বিদেশ মন্ত্রীকে যেতে হয়েছে । তাতে বরফ গলবে বলে মনে হয় না । এবার পেঁয়াজ ইরাণ ভারতকে রফতানি করেনি। যার জন্য পেঁয়াজের দাম এতটা বেড়ে গেছে । অন্যদিকে, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও তার দাম কিছুই কমানো হয়নি ।

Advertisement

এদিকে তুরস্কও সিএএ আইন নিয়ে ভারতের উপর ক্ষুদ্ধ হয়েছে । তুরস্ক মনে করছে ভারতের মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করার জন্য মোদী সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে । অন্যদিকে মালোশিয়াও এই আইন নিয়ে ক্ষোভ গোপন করেনি ।

জানা গেছে , আরব দেশগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত যদি মুসলমানদের প্রতি বিরুপ আচরণ করতে থাকে তাহলে পোট্রেপণ্যের সরবরাহ কমিয়ে দেবে । আবার ইরাণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএএ আইনের ব্যাখ্যায় তারা সন্তুষ্ট না হলে ভারতের সঙ্গে পেট্রোপণ্য সংক্রান্ত সর্ম্পক ছিন্ন করবে । ফলে প্রচন্ড চাপে পড়েছে মোদী সরকার । এখন সুযোগ খুঁজছে কীভাবে মুখ রক্ষা হয় । সেই সঙ্গে আরব দেশগুলির সঙ্গে সর্ম্পক ভাল থাকে । কারণ পেট্রোপণ্যে রফতানি আরব দেশগুলি বন্ধ করে দিলে ভারতকে বিশাল আর্থিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

5 × 3 =