সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে নিহত মেরঠের ছজনের পরিবারের সঙ্গে রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে দেখা করতে দিল না উত্তরপ্রদেশের পুলিশ
বাংলার জনরব ডেস্ক : সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি) বিরোধী আন্দোলনে উত্তরপ্রদেশে ১৬ জন মানুষ গুলিতে নিহত হয়েছে । পুলিশ প্রথমে গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে এখন অবশ্য স্বীকার করেছে পুলিশ ।নিহত ১৬ জনের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। তাঁদের মেরঠে প্রবেশ করার আগেই পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে দেয় ।শেষ পর্যন্ত তাঁদের ফিরে যেতে হয়।
সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে নেমে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে মেরঠে। তাঁদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করতেই মঙ্গলবার সকালে রওনা দিয়েছিলেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু, মেরঠ বাইপাসে তাঁদের কনভয় থামিয়ে দেয় পুলিশ-প্রশাসন। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এমন কোনও নির্দেশ আছে কি না। কিন্তু, তারা তা দেখাতে পারেনি। শুধু বলে, আপনারা দয়া করে ফিরে যান।’’ এর পর তাঁদের প্রতাপপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেরঠে এখনও পর্যন্ত যে কোনও ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও, কংগ্রেসের দাবি, তিন জনের একটি দলকে শহরে ঢুকতে দেওয়ার জন্য তাঁদের তরফে প্রশাসনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। বদলে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে সফর স্থগিত রাখতে বলে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ওই শহরে ইন্টারনেট সংযোগেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
গত শুক্রবার সিএএ ও এনআরসি বিরোধী মিছিল কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মেরঠের পরিস্থিতি। মিছিল থেকে পুলিশকে ইট ছোড়া হয় বলে প্রশাসনের দাবি। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। অভিযোগ, ওই সময়ে পুলিশ গুলিও চালায়। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। এর আগে, আন্দোলনে নেমে বিজনৌরেও দু’জনের মৃত্যু হয়। শনিবার, নির্বিঘ্নেই সেখানে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা। বিজনৌরে গুলি চালানোর কথা পুলিশ স্বীকার করলেও, মেরঠের ঘটনা নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ আঁটা তাদের।